রূপ, সে তো আপেক্ষিক। আমাদের সমাজের স্থির করে দেওয়া মানদণ্ড। তাতে উতরে গেলেই কোনও বস্তু বা জীবকে সুন্দর মনে হয়। কিন্তু আসলে তো আমরা সবাই-ই নিজেদের মতো করে ভিন্ন, তাই না?
এত কিছু বলার একটাই কারণ। বিশ্বের 'সবচেয়ে কুতসিত্' কুকুরের প্রতিযোগিতায় জিতল এক সারমেয়। আর তাই করেই এখন রীতিমতো সেলেব্রেটি সে। সমাজের নির্ধারিত সৌন্দর্য্যের কাঠামোয় ডাহা 'ফেল' করেছে সে।
শুক্রবার, মার্কিন টেলিভিশন সংস্থা NBC, ক্যালিফোর্নিয়ার পেটালুমায় ২০২২ সালের 'বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতার' আয়োজন করে। বিজয়ী হিসাবে মিস্টার হ্যাপি ফেস নামের একটি কুকুরের নাম ঘোষিত হয়। লোমহীন চাইনিজ ক্রেস্টেড-চিহুয়াহুয়া মিক্স কুকুরটির মাথায় মুকুট তুলে দেওয়া হয়।
মিস্টার হ্যাপি ফেসের মালিক জেনেদা ব্যানেলি। তাঁর কুকুর এমন উপাধি পাওয়ায় যারপনাই খুশি তিনি। জেনেদা বলেন, খেতাবটি সম্মানের। ২০২১ সালের অগস্টে, একটি বাড়ি থেকে ওকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এর পরে অ্যারিজোনার একটি কুকুরদের শেলটারে ওকে রাখা হয়েছিল। খারাপ দেখতে বলে কেউ ওকে নিতে চায়নি।
মার্কিন মুলুকে ডগ শেলটার থাকে। তাতে গৃহহীন, অবহেলিত কুকুরদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। সেখান থেকেই নামমাত্র টাকা বা বিনামূল্যে কুকুরগুলি যে কেউ দত্তক নিতে পারেন।
তবে শেলটারগুলিতে কুকুরের সংখ্যা সীমিত রাখতে হয়। তাই অত্যন্ত অসুস্থ, আগ্রাসী কুকুরদের ইঞ্জেকশনের মাধ্যম ইউথেনাইজ করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, অসুন্দর কুকুরদের ভাগ্যেও একই ভবিতব্য থাকে।
এরমই এক শেলটারে পড়ে ছিল মিস্টার হ্যাপি ফেস। সেখান থেকে তাকে দত্তক নেন জেনেদা ব্যানেলি। তিনি বলেন, আমি সবার কাছে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন কতে চাই। কুকুরটার বয়স হয়ে যেতে পারে, দেখতে খারাপ হতে পারে। কিন্তু ওরাও আপনাদের অন্য কুকুরের মতোই অনেক ভালোবাসা দিতে সক্ষম। ওরাও আপনাদের ভালোবাসা, একটি পরিবার ডিজার্ভ করে।