যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ন্যাটো মিত্ররা তাদের পাওনা পরিশোধ করেনি তাদের ওপর হামলা চালাতে তিনি রাশিয়াকে সমর্থন করবেন।
শনিবার সাউথ ক্যারোলাইনার কনওয়েতে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের প্রাইমারির প্রচারণায় এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ট্রাম্প ৩১ সদস্যের সামরিক জোট ন্যাটোর সমালোচনা করেছেন, যা যুক্তরাষ্ট্র রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ইউক্রেন, যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
আরও পড়ুন| জো বাইডেন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় বার্ধক্য কেন একটি ইস্যু?
'তুমি টাকা দাওনি, তুমি কি অপরাধী?'
প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, তিনি একবার একটি বড় দেশের নেতাকে বলেছিলেন, রাশিয়া আক্রান্ত হলে তিনি তাদের সাহায্য করবেন না, কারণ তারা 'অপরাধী'।
"একটি বড় দেশের প্রেসিডেন্টদের একজন উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, 'ঠিক আছে জনাব, আমরা যদি টাকা না দিই, আর রাশিয়া যদি আমাদের আক্রমণ করে, আপনি কি আমাদের রক্ষা করবেন? ট্রাম্প বলেন, 'আমি বলেছি, আপনি টাকা দেননি, আপনি কি অপরাধী?
'না, আমি তোমাকে রক্ষা করব না। আসলে, আমি তাদের যা খুশি তা করতে উত্সাহিত করব। টাকা দিতে হবে। আপনাকে আপনার বিল পরিশোধ করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ট্রাম্পের এমন মন্তব্যে উদ্বিগ্ন, যা আদৌ ঘটেছিল কিনা তা নিয়ে অনেকে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এমএসএনবিসির বিশ্লেষক এবং ওয়াশিংটন ডিসির মাদার জোনসের ব্যুরো প্রধান ডেভিড কর্ন এক্স (প্রাক্তন টুইটার) বলেন, 'মনে হচ্ছে ট্রাম্প রাশিয়াকে আমাদের ন্যাটো মিত্রদের ওপর হামলা চালাতে উৎসাহিত করছেন।
রক্ষণশীল ভাষ্যকার অ্যালিসা ফারাহ গ্রিফিন বলেছেন, ট্রাম্পের মন্তব্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কানে বাজানোর মতো 'সংগীত'।
আরও পড়ুন| যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো
সীমান্তে অভিবাসন সংকট নিরসনে কংগ্রেসে একটি বিল পাসের প্রশংসাও করেছেন ট্রাম্প। বিলটি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন সমর্থন করেছিলেন, যা ট্রাম্প হেরে গিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ২০২৪ সালে তিনি জিতলে দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনেই 'ব্যাপক বহিষ্কার অভিযান' শুরু করবেন।
বিভিন্ন আদালতে ৯০টিরও বেশি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও বাইডেনের বিরুদ্ধে জরিপে ট্রাম্প ভালো ফল করছেন। অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচন পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা, অফিস ছাড়ার পর সরকারের গোপন তথ্য গোপন রাখা এবং একজন পর্নো তারকাকে অর্থ প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।