'আপনার স্বামীকে যখন খুন করা হয়েছে, সেই সময় আপনি যে সেখানে ছিলেন, ...ঠিক একই ধরনের বন্দুক যা আপনার কাছে রয়েছে, তা নিয়ে হাজির ছিলেন, যে বন্দুকটি এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।' কোর্টে এই বক্তব্য আসে লেখিকা ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রোফির বিপক্ষের আইনজীবীর তরফে। যার উত্তরে ব্রোফি বলছেন, 'এই লোকটাকে খুন করলে আমার মনে থাকত, কারণ আমার মেমোরি ইস্যু আছে। যদি আমি গুলি করে থাকতাম, তাহলে তার সমস্ত দৃশ্য পুঙ্খাপুঙ্খ আমার মনে থাকত।' আদালতে এভাবেই চলছে লেখিকা ন্যান্সি ক্র্যাম্পটন ব্রোফির বিরুদ্ধে মামলা। অভিযোগ তিনি তাঁর স্বামী ড্যানিয়েল ব্রোফিকে খুন করেছেন।
এই মামলা কোনও ফিল্মি কাহিনির থেকে রোমাঞ্চকর কম নয়! রয়েছে খুন, রয়েছে খুনের হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র, রয়েছে বহু মূল্য বীমার কাহিনি। রয়েছে সন্দেহভাজনের অ্যামনেশিয়ার ঘটনা, আর একটি সিসিটিভি ফুটেজ। লেখিকা ক্র্যাম্পটন ব্রোফি ' দ্য রওং হাসবেন্ড', 'রওং নেভার ফেল্ট সো রাইট'-এর মতো কাহিনির জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। যে লেখিকা নিজে স্বামী হত্যা নিয়ে রোমহর্ষক কাহিনি লিখেছেন এককালে এবার তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে স্বামী হত্যার। ৭১ বছরের এই বৃদ্ধা লেখিকা যে বন্দুক ব্যবহার করেছেন এই খুনে, তার ব্যারেল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যা তিনি 'ই বে' থেকে কিনেছেন বলে জানা গিয়েছে। দাম্পত্য সুখ থাকবে তুঙ্গে, অর্থ-সম্মান বাড়বে! ডিসেম্বর পর্যন্ত ভাল সময় কাদের?
মূলত, এই খুনের নেপথ্যে যে কারণ উঠে আসছে তা হল, টাকা! বহুদিন ধরে মর্টগেজের (বন্ধক) -এর টাকা শোধ করতে পারছিলেন না ক্র্যাম্পটন। তবে রয়েছে ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বীমা। আর তা পেতেই তিনি স্বামীকে হত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, ক্র্যাম্পটনের গাড়িকে দেখা গিয়েছিল একদম সেই জায়গায় সেই সময় যেখানে তাঁর স্বামী খুন হন। এই নিয়ে প্রশ্ন করলেই ব্রোফি বলছেন, তিনি লেখালিখির জন্য 'অনুপ্রেরণা' সংগ্রহ করতে সেই এলাকা দিয়ে সেই সময় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে আজ ২০২২ সাল, এখনও খোঁজ মেলেনি সেই বন্দুকের ব্যারালের। যার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে এই খুনের বহু সূত্র। একাধিক তথ্য প্রমাণ বলছে খুনের নেপথ্যে লেখিকা নিজে। অথচ লেখিকা বলছেন অন্য কথা। 'হাউ টু মার্ডার ইয়োর হাসবেন্ড' গল্পের লেখিকা কম্পটন ব্রোফিকে ঘিরে মামলার শেষ কোথায় হয় সেদিকে নজর সকলের।