বাংলাদেশে হিগত কিছুটা সময়ে চরম রাজনৈতিত তোলপাড়ের মাঝে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি হয়। এদিকে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে সেদেশের মাদারীপুরের ডাসা উপজেলায় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির জবরদখল হওয়ার কথা জানা যায়। যা ঘিরে একাধিক খবর মিডিয়ায় আসতে থাকে। নিন্দার ঝড় ওঠে। এই জবরদখলের অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। তবে শেষমেশ বাংলাদেশের ইউনুস-প্রশাসন সেই দখল মুক্ত করে। তবে এখনও ওই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ না হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, আদৌ সাহিত্যিকের বাড়ি নিরাপদ থাকবে তো !
বাংলাদেশের সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বাড়ির ভিতরে রয়েছে স্মৃতি বিজড়িত একটি পাঠাগার। সেই পাঠাগারে ওই বিএনপি নেতা তাণ্ডব চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ছিল। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বই ও ব্যবহৃত নানা সরঞ্জামও নষ্ট করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তবে সদ্য ইউনুস প্রশাসনের উদ্যোগে সেই বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়। তবে এরপরও এই বাড়ি কতটা নিরাপদ থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, কারণ অভিযুক্ত বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের প্রশাসন কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি।
( Junior Doctors at Nabanna Live: ' CMদেড় ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছেন, এরও একটা লিমিট আছে'- মুখ্যসচিব)
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ছাত্র-জন আন্দোলনকারীদের দাবিতে গদি ছাড়েন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা শুধু প্রধানমন্ত্রী পদ থেকেই পদত্যাগ করেনি সেদিন, তিনি ৫ অগস্ট বাংলাদেশের মাটি ছেড়ে চলে যান। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে সেদিন ভারতে আসেন। এদিকে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের একাধিক জায়গায় তাণ্ডবের ছবি দেখা যায়। সেখানে কিংবদন্তী পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের পৈতৃক বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে। ইন্দিরা ভবন ভাঙা হয়। এরপর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির ওপর হামলা করা হয়। গত শনিবার বিএনপি নেতা সোহেল হাওলাদার ও তাঁর সঙ্গীরা, ওই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িতে হামলা করেন। তাঁরা তালা ভেঙে সেখানে পৌঁছন বলে জানা গিয়েছে। বই, আসবাবপত্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি-সহ বহু জিনিস নষ্ট করে দেওয়া হয়। পরে প্রশাসন সেই বাড়ি দখলমুক্ত করে।