প্রথমে শরদ পাওয়ার, তারপর একে একে ফারুক আবদুল্লাহ এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও বিরোধীদের তরফে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অস্বীকার করেন। এই আবহে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহসভাপতি যশবন্ত সিনহার নাম ভেসে উঠেছিল সম্ভাব্যদের তালিকায়। এই আবহে জল্পনায় ঘি ঢেলে একটি টুইট করলেন যশবন্ত সিনহা। এরপরই মনে করা হচ্ছে, সম্ভবত যশবন্ত সিনহাকেই বিরোধীরা সংযুক্ত ভাবে প্রার্থী করতে পারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য।
এদিন এক টুইট বার্তায় যশবন্ত সিনহা লেখেন, ‘তৃণমূলে মমতাজি আমাকে যে সম্মান ও প্রতিপত্তি দিয়েছেন তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এখন একটা সময় এসেছে যখন বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে আমাকে দল থেকে সরে এসে বৃহত্তর বিরোধী ঐক্যের জন্য কাজ করতে হবে। আমি নিশ্চিত যে সে পদক্ষেপটি অনুমোদন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’ তাঁর এই টুইটের পরই জল্পনা শুরু হয় বিরোধীদের রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থীর নাম নিয়ে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বিজেপিতে ছিলেন যশবন্ত সিনহা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০১৮ সালে তিনি বিজেপি ছাড়েন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন যশবন্ত সিনহা। বর্তমানে তিনি ঘাসফুল শিবিরের সর্বভারতীয় সহসভাপতি। এহেন যশবন্তকেই বিরোধীরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রার্থী করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিরোধী দলের নেতারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ প্রার্থী ঠিক করতে এখন শরদ পাওয়ারের বাসভবনে বৈঠক করছেন। সেই বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলে যোগ দেওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে সোমবারের বৈঠকেও নাকি বিরোধীদের মধ্যে যশবন্ত সিনহার নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই সব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে নারাজ যশবন্ত সিনহা।