রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী দলগুলির যৌথ সমর্থিত প্রার্থী হয়েছিলেন যশবন্ত সিনহা। তবে বিরোধীরা তাঁকে প্রার্থী করলেও একের পর এক অনেক দলই তার উপর থেকে সমর্থন সরিয়ে নিয়েছিল। তাতে অনেকটাই ক্ষুব্ধ এবং অভিমানী যশবন্ত সিনহা। অভিমানে এবার তিনি জানিয়ে দিলেন, আর কোনও রাজনৈতিক দলেই তিনি যোগ দেবেন না। নির্দল হিসেবেই থাকবেন। রাষ্ট্রপতি পদ প্রার্থী হওয়ার আগেই তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন যশবন্ত। আজ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি জানান, ‘আমি আর কোনও দলে যোগ দেব না। আমি নির্দল হিসেবেই থাকব।’
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে থেকে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে যশবন্ত সিনহার। আর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এমনটাই দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তবে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে সিনহার ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে বলেই তিনি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে দলের পক্ষ থেকে কেউ যোগাযোগ করেনি তাই আমিও কারও সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রয়েছে।’ প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কোনও লড়াই দিতে পারেননি যশবন্ত সিনহা। বিরোধীদের সমর্থনে তাঁকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী করা হলেও পরে শিবসেনা বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানায়। তারপরেই সিনহা মুম্বই সফর বাতিল করে দিয়েছিলেন।
যশবন্ত সিনহা তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে। পরে তাঁকে দলের সহ-সভাপতি করা হয়। তাঁকে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করার পরেই তিনি দলের পদ থেকে ইস্তফা দেন। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজয়ের পরে তিনি মানুষের সঙ্গে কাজ করতে চান বলেই আশা প্রকাশ করেছেন। একইসঙ্গে সেক্ষেত্রে তাঁর বয়স বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেই তিনি আশঙ্কা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স এখন ৮৪ বছর। দেখতে হবে আমি কী কাজ করতে পারি।’