গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারির বান্দা জেলে মৃত্যু ঘিরে নানান প্রশ্ন তুলছে পরিবার। জানা গিয়েছে, জেলের ভিতর হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সেকথা ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও বলা হয়েছে। তবে অটোপসি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, তাঁর হার্টে রয়েছে ‘হলুদ দাগের অংশ’। এই হলুদ অংশটি নিয়েই নানান প্রশ্ন উঠছে।
মুখতারের ভাই আফজাল আনসারির দাবি, তাঁর ভাইকে ‘স্লো পয়জন’ করে হত্যা করা হয়েছে। আনসারির পরিবারের তরফে বারবার বিষক্রিয়ার তত্ত্ব সামনে আনা হয়েছে। এদিকে, সোমবার মুখতার আনসারির ভাই আফজাল দাবি করেছেন যে, যেভাবে কবরে মুখতারের শবদেহ রাখা হয়েছে, তা নিরাপদ। ফলত আরও কয়েক বছর পর যদি শবদেহ পরীক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে তা করা যাবে। আফজালের দাবি, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে মুখতার আনসারিকে। এদিকে, মুখতার আনসারির অটোপসি রিপোর্টে যে সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে নেওয়া যাক।
শুক্রবার ৫ সদস্যের চিকিৎসকের টিম মুখতার আনসারির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে। সেই তদন্তে দেখা গিয়েছে, মুখতার আনসারি হার্ট অ্য়াটাকের জেরে মারা গিয়েছেন। তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, তাঁর হার্টে একটি অংশে হলুদ ছোপ রয়েছে। যা নিয়ে মনে করা হচ্ছে, সেটি সম্ভাব্য ‘রক্ত জমাট’ বাঁধার কারণে হতে পারে। ১.৯X১.৫ সেন্টিমিটারের একটি অংশে এই হলুদ ছোপ রয়েছে হার্টে, বলে সূত্রের খবর। হার্ট সংক্রান্ত সমস্যা ছাড়াও জেলবন্দি মুখতার আনসারি বিভিন্ন রকমের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাঁর মধুমেহ ছিল। সঙ্গে ত্বকে অ্যালার্জি, ছিল ডায়াবেটিস। খুনের দায়ে অভিযুক্ত মুখতার আনসারি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বান্দা জেলে। উচ্চ নিরাপত্তায় ঠাসা বান্দা জেলে মুখতার আনসারিকে অচৈতন্য় অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বান্দা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জানান, পেটের যন্ত্রণা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। ১৪ ঘণ্টা সেখানে ভর্তি থাকার পর তিনি মারা যান। পরিবারের দাবি, মুখতারকে বিষ প্রয়োগ করে খুন করা হয়েছে। দাবি মানতে নারাজ কর্তৃপক্ষ। মুখচারের ভাই বলছেন,'মুখতার আনসারিকে হত্যা করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে যে বিষ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তার পোক্ত প্রমাণ দেব সময় হলে। কতিপয় অপরাধীকে বাঁচাতে গোটা সরকার ও তার অংশ ব্যাপক ষড়যন্ত্র করেছে। তাদের লজ্জা নেই'।
এরপর সোমবার মুখতার আনসারির ভাই আফজল বলেছেন, মুখতারের দেহ এমনভাবে কবরে রাখা হয়েছে, যে ৫ বছর পরও যদি কবর থেকে মরদেহ বের করতে হয়, তাহলেও তা নিরাপদ থাকবে। তিনি বলছেন, মুখতারের কাহিনি শেষ হয়নি, তা শুরু হয়েছে। এদিকে, সদ্য মুখতারের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এআইএমআইএমএর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি।