ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে। একটা সময় জানা গিয়েছিল, তাঁর এই মৃত্যুদণ্ড মঞ্জুর করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আমিনি। তবে সোমবার, ভারতে অবস্থিত ইয়েমেনের দূতাবাস বিষয়টি স্পষ্ট করেছে। তারা জানিয়েছে, ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়া বন্দি রয়েছেন ইয়েমেনের হুথি জঙ্গিদের কবলে। আর তাঁর মৃত্যুদণ্ডে তাই ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল আমিনির কোনও অনুমোদন যায়নি।
সোমবার, ইয়েমেনের দূতাবাস জানিয়েছে, নিমিশা প্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে হুথির সর্বোচ্চ রাজনৈাতিক পরিষদের নেতা মেহেদি আল মাশাত। উল্লেখ্য, নিমিশা প্রিয়া বন্দি রয়েছেন উত্তর ইয়েমেনে। আর সেই এলাকা হুথি জঙ্গিদের কবলে। যে জেলে নিমিশা বন্দি, সেই জেল হুথি অধ্যুষিত এলাকায় পড়ে। এদিকে, নিমিশা প্রিয়ার ঘটনায় ইরানের দিক থেকে একটি কূটনৈতিক সহযোগিতা আশ্বাস পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য, এই হুথি জঙ্গিদের সমর্থন করে ইরান। ফলে তাদের সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক ভালো। আর সেই জায়গা থেকে নিমিশার বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতায ইরান আশ্বাস দিয়েছে বলে ‘অন মনোরমা’র রিপোর্ট দাবি করছে।
উল্লেখ্য নিমিশা, কেরলের পলাক্কড়াের চিট্টিলাঞ্চিরি এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০১৭ সাল থেকে ইয়েমেনের সানা অঞ্চলে বন্দি রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে এক সহকর্মীর সঙ্গে মিলে একজনকে খুন করার অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগে নিমিশার মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তালালে এই খুন হয়েছে বলে খবর। সদ্য এক কেরলের সংবাদপত্র এই খবর প্রকাশ্যে আনে। তারপর থেকেই শুরু হয় হইচই। ২০২০ সালে নিমিশাকে ইয়েমেনের এক কোর্টে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। সেই ঘটনা ঘিরেই এবার জানা গেল, যে এলাকায় নিমিশা জেলবন্দি, সেটি হুথি জঙ্গি অধ্যুষিত এলাকা।
৩৭ বছরের নিমিশার কেস নিয়ে ভারত কূটনৈতিক দিক থেকে বেশ সচেষ্ট হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নিমিশার সাজা ১ মাসের মধ্যে কার্যকর হতে পারে। এদিকে, মেয়ের প্রাণ রক্ষা করতে, কেন্দ্র ও কেরল সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন নিমিশার মা। তিনিও রয়েছেন ইয়েমেনে।