ঋণের ভারে ন্যুব্জ ইয়েস ব্যাঙ্কের দায়ভার নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আগামী মাসের তিন তারিখের মধ্যে এই ব্যাঙ্ক পুনর্গঠিত হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কিন্তু এর মধ্যে মাত্র ৫০,০০০ টাকা ব্যাঙ্ক তুলতে পারবেন গ্রাহকরা। এই নিয়ে শুরু হল রাজনৈতিক টানাপোড়েন। মোদী সরকারের জন্যেই ডুবেছে ইয়েস ব্যাঙ্ক, অভিযোগ কংগ্রেস নেতাদের। ইউপিএ আমলেও ব্যাঙ্ক ফেল করেছে, মনে করিয়ে দিলেন নির্মলা সীতারামন।
প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী এদিন বলেন যে No Yes Bank- বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তাঁর প্রতিক্রিয়ায়। মোদী সরকারের আইডিয়ার জন্য ভারতীয় অর্থনীতি লাটে উঠছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যদিকে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বলেন যে সরকারের অর্থনৈতিক সংস্থাদের চালনায় বিষয় অক্ষমতা সামনে এসে গিয়েছে। টুইটারে চিদম্বরম বলেন যে ছয় বছর ধরে সরকারে আছে মোদী। প্রথমে পিএমসি ডুবল, এখন ইয়েসের পালা। সরকার কী নিজের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে ও এরপর কোন ব্যাঙ্কের নম্বর আসবে, সেই প্রশ্নও করেন তিনি।
গড়ে যখন দশ শতাংশ হারে ব্যাঙ্কের ক্রেডিট বেড়েছে, তখন ৩৫ শতাংশ হারে ইয়েসের বাড়ল কি করে, সেই প্রশ্ন করেছেন তিনি। অন্যদিকে এই সব প্রশ্ন হেলায় উড়িয়েছেন নির্মলা সীতারামন। তাঁর দাবি, ২০১৭ সাল থেকেই এই ব্যাঙ্কের পরিস্থিতি তাদের নজরে ছিল। এই কারণেই ব্যাঙ্কে শীর্ষ নেতৃত্বে বদল আনা হয়। নতুন সিইও আসার পর ব্যাঙ্কে ব্যাড লোনের পরিস্থিতির ওপর নজর দেওয়া হয় বলে তিনি জানিয়েছেন।
তাও কেন এই পরিস্থিতি হল সেটি আরবিআই খুঁটিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা। ৩০ দিনের মধ্যে ইয়েস ব্যাঙ্কের পুনর্গঠনের কাজ শেষ হবে বলে তিনি জানান। এসবিআই ইয়েস ব্যাঙ্কে বিনিয়োগ করবে বলেও তিনি জানান। আগামী এক বছর ইয়েস ব্যাঙ্কে কর্মরতদের চাকরি ও মাইনে নিয়ে চিন্তা করার কোনও প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।
অনিল আম্বানি গ্রুপ, Essel, ILFS, DHFL ও ভোডাফোনের মতো সঙ্কটে পড়া সংস্থা ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়েছিল বলে জানান সীতারামন। কেন ২০০৬ সালে চিদাম্বরমের মতো স্বনিযুক্ত চিকিত্সক থাকতেও United Western Bank ডুূবে গেল, সেই প্রশ্নও করেন তিনি। সরকার গ্রাহকস্বার্থ রক্ষার্থে বদ্ধপরিকর বলেও জানান নির্মলা সীতারামন। পরে চিদাম্বরম ফের সীতারামনের অভিযোগের উত্তর দেন টুইটারে।
সবমিলিয়ে অন্য আর পাঁচটি ইস্যুর মতো এতেও চলছে একে ওপরের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা। বিপাকে পড়ে শঙ্কায় ঘুরছেন সাধারণ লগ্নিকারীরা।