হৃদরোগে মারা গেলেন প্রখ্যাত যোগ গুরু শরৎ জোইস। আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় যোগব্যায়াম শেখানোর সময় তিনি আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে হার্ট অ্যাটাককেই মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: স্বর্ণমন্দিরে যোগ ব্যায়াম করে ‘মর্যাদা লঙ্ঘন’ মহিলার, তুমুল বিতর্ক, থানায় SGPC
আমেরিকার স্থানীয় সময় সোমবার বিকেল ৩টের দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। শরৎ জোইস অক্টোবরেই তাঁর শিষ্যদের যোগ শেখাতে আমেরিকা গিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মহীশূরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ইলেকট্রনিক্সে ডিপ্লোমা করেছিলেন। এরপর দাদু পট্টাভী জোইসের কাছ থেকে যোগব্যায়াম শিখেছিলেন। ১৯ বছর বয়স থেকেই দাদুর কাছে যোগ ব্যায়ামের অনুশীলন শুরু করেন। পরে পট্টাভী জোইসের বয়স বাড়ার ফলে শরৎ শিষ্যদের যোগ ব্যায়াম শেখানোর জন্য দাদুকে সাহায্য করেন। সেই থেকেই ধীরে ধীরে তিনি যোগ গুরু হয়ে ওঠেন।
২০০৯ সালে তিনি যোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ওই বছরেরই তাঁর দাদুর মৃত্যু হয়। শরৎ জোইস ছাত্রদের যোগব্যায়াম শেখানো অব্যাহত রাখেন। মহীশূরের শহরতলি হেব্বালে শরৎ যোগ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানেই তিনি ছাত্রদের যোগব্যায়াম শেখাতেন।
শরতের পরিবারের রয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, দুই সন্তান এবং মা সরস্বতী জোইস। জানা গিয়েছে, গত মাসেই মহীশূর থেকে আমেরিকা গিয়েছিলেন জোইস। সেখানে তিনি ছাত্রদের যোগব্যায়াম শেখাচ্ছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, যে শরতের নতুন ব্যাচের জন্য ক্লাস নিতে ডিসেম্বরের কোনও এক সময় শহরে ফিরে আসার কথা ছিল।
উল্লেখ্য, শরৎ জোইস অষ্টাঙ্গ যোগের জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত যোগ গুরু ছিলেন। পট্টাভীর অধীনে তিনি যোগব্যায়ামের গভীর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। শরৎ তাঁর দাদুর ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যান এবং সারা বিশ্বে অষ্টাঙ্গ যোগকে জনপ্রিয় করে তোলেন। তাঁর ক্লাসে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বিখ্যাত গায়িকা ম্যাডোনার মতো কিছু সেলিব্রিটিও ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে যোগ মহলে। মহীশূরের সাংসদ যদুবীর কৃষ্ণদত্ত চামরাজা ওয়াদিয়ার জোইসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, শরৎ জোইস যোগব্যায়ামের জগতে একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং সারা বিশ্বে অষ্টাঙ্গ যোগ শেখানো এবং ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।