উত্তরপ্রদেশে টানা চতুর্থবার নির্বাচনে জয়ের রেকর্ড গড়তে মরিয়া বিজেপির ‘ক্যাপ্টেন’ যোগী আদিত্যনাথ। ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের মাঝে ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও এই রাজ্যে বিপুল ভোট পেয়েছে বিজেপি। লোকসভা, বিধানসভা মিলিয়ে গত তিন নির্বাচনে কেউ ধারের কাছেও আসতে পারেনি গেরুয়া শিবিরের। তবে গত তিন নির্বাচনেই মোটের উপর বিজেপির ‘মুখ’ ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপির ‘মুখ’ যোগী আদিত্যনাথ। এই আবহে গোটা গেরুয়া শিবির তথা দেশের রাজনৈতিক মহলের নজর যোগীর দিকে। এহেন যোগীর বিরুদ্ধে আবার সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগ বহুদিনের। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করলেন যোগী।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দেশ তথা উত্তরপ্রদেশে ‘মুখ’ ছিলেন মোদী নিজেই। মোদীর নির্বাচনী ক্ষেত্র আবার বারাণসী। ২০১৪ সালেও যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছিল নির্বাচনের পর। মোদীর জনপ্রিয়তার উপর ভর করেই সেই নির্বাচনে ঝড় তুলেছিল বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে এটাই যোগীর প্রথম বড় পরীক্ষা। আর তার আগে কতকটা সতর্ক যোগী।
২০০৭ সালের পর উত্তরপ্রদেশে কোনও দল পরপর দুইবার ক্ষমতা দখল করতে পারেনি। সেই দিক দিয়েও উত্তরপ্রদেশে বিজেপির জন্য এটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থায় যোগীর বক্তব্য, ‘আমি উন্নয়নের রাজনীতি করি। বিভাজনের রাজনীতি করি না।’ হিন্দুস্তান টাইমসকে যোগী বলেন, ‘রাজ্যে বিজেপির সরকার থাকাকালীন দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণ চলেছে। তা সত্ত্বেও রাজ্যের অর্থনৈতিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করেছি।’ যোগীর কথায়, ‘বিজেপি পুরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে (করোনার জেরে বিদায়ী সময়কালকে তিন বছরের মেয়াদ বলে দাবি করেন যোগী) দেশের শ্রেষ্ঠ রাজ্য হবে উত্তরপ্রদেশ।’ পাশাপাশি যোগী মনে করান, ২০১৩ সালে অখিলেশের সময়কালেই পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে একের পর এক জায়গায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা দেখা দিয়েছিল। পাশাপাশি যোগীর দাবি, তিনি সম্প্রতি বহু জাঠ পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের পর নাকি কৃষকদের কাছে আর সেটা কোনও ইস্যু নয়।
এদিকে যোগীকে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা বর্ণভেদের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘রাজপুত পরিবারে জন্ম নেওয়া কোনও দোষ হতে পারে না। আমার যে জাত, তাতে ভগবানরাও জন্ম নিয়েছিলেন। আমি রাজপুত হয়ে গর্বিত। তবে এর মানে এই না যে আমার সরকার অন্য জাতিদের প্রতি বিভেদ দেখিয়েছে।’ এরপর দলিত ও ওবিসিদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদাহরণ তুলে ধরেন যোগী।