মহাকুম্ভে পূণ্যস্নান ঘিরে সঙ্গমের জলের গুণগত মান ঘিরে নানান প্রশ্ন উঠেছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের কাছে জমা দেওয়া সিপিসিবি রিপোর্ট ঘিরে। কেন্দ্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সঙ্গমের জলে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ ঘির বিতর্ক মাথাচাড়া দিতেই এবার সরব হলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে আয়োজিত মহাকুম্ভের সঙ্গমের জলের মান নিয়ে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে একাধিক বক্তব্য রেখেছেন যোগী। কী বললেন তিনি?
আজকের রিপোর্ট অনুসারে সঙ্গমের কাছে বিওডি ৩র উত্তর প্রদেশের বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় যোগী আদিত্যনাথ বলেন,'জলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।… উত্তরপ্রদেশের দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড ক্রমাগত জলের গুণগত মানের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে।থেকে কম, ডিসলভ অক্সিজেন ৮-৯র মধ্যে। এটার মানে সঙ্গমের জল শুধুমাত্র স্নানের জন্যই উপযুক্ত নয়, আচমন (ধর্মীয় রীতি)র জন্যও নিরাপদ।' বিধানসভায় তাঁর ভাষণে যোগী বলেন, ফিকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার ‘কারণ বিভিন্ন হতে পারে। বর্জ্য সংক্রান্ত কোনও লিকেজ বা পশু প্রাণীর বর্জ্য হতে পারে।’ তিনি বলে,' মহাকুম্ভের মানহানি করতে মিথ্যা প্রচার চলছে। এনজিটিও জানিয়েছেন, ফিকাল বর্জ্য, প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ২০০০ এমপিএন-র কম রয়েছে।' তিনি বলেন,'আমরা যখন সনাতন ধর্ম, মা গঙ্গা, ভারত বা মহাকুম্ভের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করি বা ভুয়া ভিডিও দেখাই, তখন এটা এই ৫৬ কোটি মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলার মতো।'
মহাকুম্ভ ইস্যুতে যোগী আদিত্যনাথ বলেন,' এই অনুষ্ঠানটি কোনও বিশেষ দল বা সংগঠনের আয়োজন নয়... এই অনুষ্ঠান সমাজের, সরকার তার দায়িত্ব পালনের সেবক হিসেবে আছে... এটা আমাদের সৌভাগ্য যে আমাদের সরকার এই শতাব্দীর মহাকুম্ভের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছি... দেশ ও বিশ্ব এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে এবং সকল মিথ্যা প্রচার উপেক্ষা করে সাফল্যের নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে।' আদিত্যনাথ বলেন, মহাকুম্ভ শেষ হতে আর ৭ দিন বাকি। ইতিমধ্যেই ৫৬ কোটি ২৬ লাখ পূণ্যার্থী ত্রিবেণী সঙ্গমে পূণ্যস্নান করেছেন। এদিকে, কুম্ভের জল নিয়ে সিপিসিবির রিপোর্ট ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়, গঙ্গায় কলিফর্মের স্তর প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ৭০০,০০০ এমপিএন পার করে গিয়েছে, আর যমুনায় তা প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ৩৩০,০০০ এমপিএন পার হয়ে গিয়েছে। যেখানে স্নানের জন্য উপযুক্ত পরিমাণের নিরাপদ সীমা হল, প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ৫০০ এমপিএন। জানুয়ারির ১২ থেকে ১৯ তারিখের মধ্যে নমুনা সংগ্রহের ভিত্তিতে এই রিপোর্ট এসেছে বলে খবর।