অ্যাডিলেডে ৩৬ রানে শেষ হয়ে গিয়েছিল ইনিংস। সঙ্গে ছিল চোট-আঘাতের ধাক্কা। তা সত্ত্বেও অদম্য জেদ, মনোবলের সৌজন্যে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ জিতে দেশে ফিরেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। দেশের যুবসমাজকেও অজিঙ্কা রাহানদের সেই অভাবনীয় লড়াই থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার পরামর্শ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুষ্ঠানে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মোদী বলেন, ‘আজকের যুবসমাজ যে সব প্রতিকূলতা এবং সমস্যার সম্মুখীন হয়, তা সমাধানের নয়া উপায় আছে। তার সাম্প্রতিক উদাহরণ তৈরি করেছে ভারতীয় দল। হার এবং প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে পরের ম্যাচগুলিতে জয়লাভ করেছে।’
মোদী জানান, ম্যাচ বাঁচানোর জন্য চোট-আঘাত সত্ত্বেও ভারতের খেলোয়াড়রা মাঠে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করেছে। কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা অবসাদে ভোগেননি। বরং সেই প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছেন। কয়েকজন খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা কম ছিল। কিন্তু তাঁর সংকল্প কোনও অংশে কম ছিল না। তার উপর ভিত্তি করেই ইতিহাস রচনা করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। পূর্ণশক্তি এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যে প্রতিভা এবং মানসিকতার প্রয়োজন ছিল, ভারতীয় দলের মধ্যে তা ছিল।
যুবসমাজের কাছে কোন তিনটি বিষয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাও জানান মোদী। তাঁর কথায়, ‘আমাদের জীবনে বড় শিক্ষণীয় হয়ে উঠেছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স। আমাদের নিজেদের দক্ষতার উপর আস্থা রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখতে হবে। আমাদের মানসিকতা যদি ইতিবাচক হয়, তাহলে ফলাফলও তেমনই হবে।’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘তৃতীয় এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার বিষয় হল যে একদিকে সুরক্ষিত দৃষ্টিভঙ্গিকে দূরে সরিয়ে রাখার সুযোগ এবং অন্যদিকে কঠিন জয়ের বিকল্প আছে, সেখানে তোমাদের জয়ের সম্ভাবনার দিকে এগিযে যাওয়া উচিত। জয়ের পথে যদিও তোমরা ব্যর্থ হও, সেটা কোনও পরাজয় নয়। ঝুঁকি নেওয়া এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের কখনও ভয় পাওয়া উচিত নয়। ব্যর্থতার ভয় কাটানোর জন্য সক্রিয় এবং নির্ভীক হতে হবে।’