সম্প্রতি বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের (বিএসই) কয়েকটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি সংস্থার শেয়ার থেকে দুর্দান্ত রিটার্ন মিলেছে। তেমনই একটি সংস্থা হল গীতা রিনিউয়েবল এনার্জি। গত এক মাসে কিছুটা চাপের মুখেও পড়লেও চলতি বছর সেই সংস্থার শেয়ার থেকে দারুণ রিটার্ন পেয়েছেন লগ্নিকারীরা। যাঁরা একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে ওই সংস্থার শেয়ারে টাকা রেখেছিলেন।
গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির শেয়ারের ইতিহাস
গত ছ'মাসে দুর্দান্ত রিটার্ন সত্ত্বেও উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জি। ওই সময়ের মধ্যে লগ্নিকারীরা প্রায় ৬৬৫ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছেন। বছরখানেক আগে সংস্থার প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের দাম ছিল ৫.৫২ টাকা। এখন তা বেড়ে ১২০.১৫ টাকা হয়েছে। অর্থাৎ গত এক বছরে প্রায় ২,০০০ শতাংশ রিটার্ন মিলেছে। চলতি বছরের গোড়া থেকে এখনও পর্যন্ত শেয়ারহোল্ডাররা ১,৬০০ শতাংশ অর্থ ফেরত পেয়েছেন। তবে গত এক মাসে সংস্থার শেয়ার কিছুটা নেমেছে। একটা সময় যে সংস্থার প্রতিটি ইক্যুইটি শেয়ারের দাম ছিল ৩,০০০ টাকা ছিল, তা নেমে এসেছে ১২০.১৫ টাকায়। তা সত্ত্বেও গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির উত্থান নেহাত কম নয়।
লগ্নিকারীদের অর্থের উপর প্রভাব
কোনও লগ্নিকারী যদি এক মাস আগে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জিতে এক লাখ ঢেলে থাকেন, তাহলে তিনি পাবেন ৫০,০০০ টাকা। কারণ প্রবল চাপের মধ্যে সেই সময় সংস্থার শেয়ারের দাম ৫০ শতাংশের মতো কমে গিয়েছিল। তিন মাস আগে যদি কোনও লগ্নিকারী এক লাখ দিয়ে থাকেন, তাহলে তিনি ২.২৭ লাখ টাকা ফেরত পাবেন। কারণ ওই সময় গীতা রিনিউয়েবল এনার্জির প্রতি শেয়ারের দাম ৫২.৮ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২০.১৫ টাকা। যাঁরা ছ'মাস আগে ওই সংস্থায় এক লাখ টাকা রেখেছিলেন, তাঁরা ৭.৬৫ লাখ ফেরত পাবেন। ওই সময়ের মধ্যে সংস্থার শেয়ারের দাম ৭.৬৫ গুণ বেড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মত
চয়েস ব্রোকিংয়ের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর সুমিত বাগাড়িয়া জানিয়েছেন, অতীতে গীতা রিনিউয়েবল এনার্জি দুর্দান্ত রিটার্ন দিয়েছে। কিন্ত গত কয়েকটি সেশনে পড়েছে ওই সংস্থার শেয়ার। তা আবারও স্থিতিশীল হয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে না আসা পর্যন্ত নতুন করে বিনিয়োগ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। (বিশেষ দ্রষ্টব্য বা সতর্কীকরণ : বিশেষজ্ঞের মতে একান্তভাবেই তারং নিজস্ব মত। তাতে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার কোনও মত নেই)।