করোনা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চোখ রাঙানি যত বাড়ছে, ততই আকাল তৈরি হচ্ছে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং টিকার। এই আবহে এটার 'ট্রিয়াজ'-এর সুরে পরামর্শ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লিতে ক্রমেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। করোনার চোখ রাঙানি তো আগের থেকেই ছিল রাজধানীর উপর। এই পরিস্থিতিতে দিল্লির উচ্চ আদালত পরামর্শ দিল, যাঁদের বাঁচার সুযোগ বেশি, তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হোক।
আদালতের তরফে বলা হয়, 'আমাদেরকে ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে হবে। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে টিকা দিতে হবে। তবে আমরা ষাটোর্ধ্বদের প্রাধান্য দিচ্ছি। তাঁরা তো নিজেদের জীবন যাপন করেছেন। আমরা বিদায়ের পথে। অপরদিকে তরুণরা হল ভবিষ্যত।' উল্লেখ্য, আদালতের এই পরামর্শ ট্রিয়াজের নীতিকে মনে করিয়ে দিতে পারে। যুদ্ধের সময় এই নীতি প্রয়োগ করা হয়। যখন অনেক সৈনিক জখম হয়, তখন চিকিত্সককে সিদ্ধান্ত নিতে হয় কাঁদের বাঁচাবেন। সাধারণত যেই সেনাদের বাঁচার সম্ভাবনা বেশি থাকে, তাঁদেরকে বাঁচানো হয়। নির্মম হলেও, ট্রিয়াজের নীতিতে এভাবেই যুদ্ধক্ষেত্রে উপেক্ষিত হন গুরুতর জখম সৈনিকরা। দিল্লি আদালতের এই পরামর্শে যেন সেই সুর ফুটে উঠল এদিন।
কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতিকে তোপ দেগে আদালতের তরফে বলা হয়, 'আমি এই টিকাকরণের নীতি কোনও ভাবে বুঝতে পারছি না। আপনি ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের জন্য টিকাকরণের ঘোষণা করেছেন, তবে আপনার কাছে টিকা নেই। তাহলে আপনি ঘোষণা করলেনই বা কেন? বা আপনার কাছে এখন টিকা নেই বা কেন? আমাদের ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তবে তাঁদেরকেই আমরা পাশে সরিয়ে রাখছি।'
এদিকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধের আকাল নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লির উচ্চ আদালত। দিল্লি হাইকোর্ট এদিন বলে, সময় এসেছে যখন আইসিএমআর-কে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিত্সা সংক্রান্ত গাইডলাইন প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ অ্য়াম্ফোটেরিসিন-বি ইনজেকশনের বিতরণ নিয়ে স্পষ্ট নীতি নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।