জীবন শেষ করে দিয়েছে বাবা, ভাই ও প্রেমিকা। তাদের যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে এসে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পাটনায়। মৃত যুবকের নাম অমিত কুমার যাদব (২৮)। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। ঘটনাটি পাটনার মালসালামি থানা এলাকার পিরদামারিয়া ঘাটের।
আরও পড়ুন: রঙ খেলে জলে স্নান করতে নেমে দুই জেলায় তলিয়ে গেল ২ ভাই সহ ৪ জন
জানা গিয়েছে, আত্মহত্যার আগে অমিত তার বাবা, ভাই এবং তার বান্ধবীকে দোষারোপ করেন। নিজের যন্ত্রণার কথা জানান। এরপর অমিত গঙ্গা নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে এসডিআরএফ ওই যুবকের সন্ধানে অভিযান চালায়। যদিও এখনও পর্যন্ত দেহ উদ্ধার হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। ফলে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফেসবুক লাইভে আসার পর অমিত বলেছিলেন, যে সম্পত্তির বিবাদের জেরে তার বাবা এবং ভাই তাকে মারধর করেছে। তখন দুজনকেই তিনি দোষী ঘোষণা করেন। এছাড়া প্রেমিকাকেও দোষারোপ করেন অমিত। যদিও পাটনার মালসালামি থানার ইনচার্জ রাজকুমার সিং এবং যুবকের বাবা বৈজু প্রসাদ ছেলের আত্মহত্যার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই যুবক গঙ্গার মাঝখানে একটি গাছে উঠে ছবি ও ভিডিয়ো করছিলেন। সেই সময় পা পিছলে তিনি গঙ্গা নদীতে পড়ে গিয়ে ডুবে যান। কিন্তু, ওই যুবক ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার কথা বলেন। এখন দেখার বিষয় পাটনা পুলিশ এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়।
জানা গিয়েছে, অমিত ফেসবুক লাইভে স্পষ্ট বলেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা বৈদ্যনাথ যাদব এবং ছোট ভাই অনিকেত দায়ী।’ তিনি প্রেমিকার সমালোচনা করে আত্মহত্যার জন্য মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য তাকে দায়ী করেছেন। এসএইচও রাজকুমার সিং বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, অমিত মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি যে মেয়েটিকে ভালোবাসতেন তার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন এবং হতাশাগ্রস্থ ছিলেন। তা থেকে তিনি আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।