গার্লফ্রেন্ড কার! তাই নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে তুমুল ঝগড়া। আর তার জোরে এক বন্ধুকে খুন করল অন্যজন। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। নিহত যুবকের নাম বরুণ কোটিয়ান। তাকে খুনের অভিযোগে স্কুলের বন্ধু দীভেশ হেগডেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বরুণের জন্মদিন একসঙ্গে উদযাপন করার পরে দীভেশ তাকে খুন করে বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুজনেই উডুপির বাসিন্দা। তারা স্কুলে সহপাঠী ছিলেন। মেয়েটিও স্কুলে একইসঙ্গে পড়তেন।
আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুর তরুণীর দেহ ৫০ টুকরো করে বাংলার কেউ… তেমনই দাবি মন্ত্রীর, সামনে নাম
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে চাকরির সন্ধানে বেঙ্গালুরু এসেছিলেন দুই বন্ধু। মেয়েটিও গত বছর শহরে চলে এসেছিলেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পুলিশ খুনের কথা জানতে পারে। জানা গিয়েছে, দুই বন্ধু সঞ্জয়নগরের গেদ্দালহাল্লিতে একই ঘরে ভাড়া থাকছিলেন দুজনে। খুনের পরেই দীভেশ নিখোঁজ হয়ে যায়। তার ফোনটি বন্ধ ছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শুক্রবার বরুণের ২৪ তম জন্মদিন ছিল। ঘরেই তিনি জন্মদিন পালন করেছিলেন। জন্মদিনের পার্টিতে দীভেশ ছাড়াও আরও দুই বন্ধু ও ওই মেয়েটি অংশ নিয়েছিলেন। বরুণের বন্ধু, সহকর্মী এবং অন্যান্য ঘনিষ্ঠদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে বরুণ এবং দীভেশ দুজনেই মেয়েটির ঘনিষ্ঠ ছিলেন। প্রথমদিকে, মেয়েটি দীভেশের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু পরে, বরুণের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তা নিয়ে বরুণের ওপর ক্ষোভ ছিল দীভেশের।
এই ঘটনার পরেই মেয়েটিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিনি স্বীকার করেছেন যে তাকে নিয়ে দীভেশ এবং বরুণের মধ্যে শত্রুতা ছিল। তবে তিনি কখনই বুঝতে পারেননি যে এর কারণে একজনকে খুন করা হতে পারে। পরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে দীভেশকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করে পুলিশ। বরুণকে খুনের কথা স্বীকার করছে দীভেশ। সে পুলিশকে জানায়, বান্ধবীকে নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ওইদিন মধ্যরাতে বরুণের সঙ্গে তার মারপিট হয়েছিল। তখনকার মতো তাদের লড়াই থেমে যায়। পরের দিন সকালে তারা ঘরের বাইরে একটি নির্জন জায়গায় পৌছয়। তা নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত তর্ক বিনিময় হয়। তখন দীভেশ একটি ইট তুলে বরুণের মাথায় ও মুখে সজোরে আঘাত করে। ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বরুণ বেগুরের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সেফটি ম্যানেজার ছিলেন। অন্যদিকে, দীভেশ একটি ফুড ডেলিভারি এজেন্সির অপারেশনাল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন।