নাগরিকদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাঁদের সুবিচার, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌহার্দ্যের দায়িত্বও অর্পণ করে সংবিধান। ৭১ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই বার্তা দিলেন রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ। সেই সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর শিক্ষা ও মূল্যবোধ আত্মস্থ করলে সংবিধান মেনে চলা সহজ হবে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
শনিবার সন্ধ্যায় তাঁর টিভি বার্তায় রাষ্ট্রপতি কোবিন্দ বলেন, ‘সংবিধান আমাদের এক স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক হিসেবে অধিকার দিয়েছে, কিন্তু সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের মূল নীতি যেমন ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌহার্দ্যের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার দায়িত্বও অর্পণ করেছে। এই সাংবিধানিক নীতিগুলি মেনে চলা সহজ হয় যদি আমরা জাতির জনকের জীবনদর্শন মনে রাখি। এই দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়েই গান্ধীজির ১৫০ তম জন্মবার্ষিকীর সঠিক ও অর্থপূর্ণ উদযাপন সম্ভব।’
নবীন নাগরিকদের প্রতি তাঁর বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘নবীনদের জন্য সবার আগে আসে দেশ। তাঁদের সাহচর্যেই আমরা নতুন ভারতের উন্মেষ প্রত্যক্ষ করছি। কোনও দাবির জন্য লড়াই করার সময় নবীনদের ভুললে চলবে না গান্ধীজির উপহার দেওয়া অহিংসার নীতি।’
প্রসঙ্গত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি-সহ একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদের অগ্রভাগে সম্প্রতি নেতৃত্ব দিতে দেখা গিয়েছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের।
এ দিন তাঁর বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশের তিন প্রধান বাহিনীর থাকা সত্ত্বেও দেশের ভবিষ্যত্ নির্ধারণের লক্ষ্যে আসল শক্তি ধরেন সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, জনসাধারণই প্রজাতন্ত্রের মূল ধারক ও বাহক।
জাতির উদ্দেশে ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের উল্লেখ করে দেশের উন্নয়ন সম্পর্কে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন কোবিন্দ। বিশেষ করে ইসরোর উদ্যোগে গগনযান প্রকল্প ভারতকে বিশ্বদরবারে গর্বিত করেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।