বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে উপার্জনের উৎস হিসেবে বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। তার মধ্যে অন্যতম হল ইউটিউব। নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য গত কয়েক মাসে মধ্যে বিপুল সংখ্যক ভিডিয়ো মুছে দিল ইউটিউব। যার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, মাত্র তিন মাসের মধ্যে ভারতে ২৯ লক্ষ মুছে দেওয়া হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট করা কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করার জন্য এই সংখ্যক ভিডিয়ো মুছে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: ১২ তলা থেকে লাফ দুধের শিশুর, ক্যাচ লুফলেন ডেলিভারি বয়
জানা যাচ্ছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে এই সংখ্যক ভিডিয়ো মুছে ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় এই তিনমাসে ৩২ শতাংশ ভিডিয়ো বেশি মুছে ফেলা হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, ২০২০ সালের পর থেকে ভারতেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিডিয়ো সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইউটিউব জানিয়েছে, তাদের নির্দিষ্ট করা কমিউনিটি গাইডলাইন বিশ্বজুড়ে প্রয়োগ করা হয়। যেখানেই কন্টেন্ট বা ভিডিয়ো আপলোড করা হোক না কেন, গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য কন্টেন্ট সরানো হয়। অন্যদিকে, ভারতের পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ব্রাজিল। দেশটিতে এই তিন মাসে ১০ লক্ষেরও বেশি ভিডিয়ো মুছে ফেলেছে ইউটিউব।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের স্বয়ংক্রিয় কন্টেন্ট মডারেশন টুল কোনও লঙ্ঘন হলে সেগুলি শনাক্ত করে। বিশ্বব্যাপী যত সংখ্যক ভিডিয়ো এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলির ৯৯.৭ শতাংশের ক্ষেত্রে বেশি লঙ্ঘন শনাক্ত করেছে এইসব টুল। এছাড়াও, বাকি ভিডিয়োগুলির কিছু মানব কর্মী দ্বারাও মুছে ফেলা হয়েছে।
ইউটিউব বলেছে, কোনওধরনের আপত্তিকর ভিডিয়ো দেখলেই সেগুলি শনাক্ত করে পর্যালোচনা করা হয়। এরপর নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য মুছে ফেলা হয়। মূলত ভিডিয়ো মুছে ফেলার মূল কারণ হল কিছু বিভ্রান্তিকর, জালিয়াতি, হিংসাত্মক, শিশু সুরক্ষা বা অন্যান্য কারণ। যার মধ্যে বিভ্রান্তিকর ও জালিয়াতির জন্য ৮১.৭ শতাংশ ভিডিয়ো মুছে ফেলা হয়েছে। হয়রানির জন্য ৬.৬ শতাংশ, শিশু সুরক্ষার জন্য ৫.৯, হিংসাত্মক বা অন্যান্য নিয়ম না মানায় ৩.৭ শতাংশ ভিডিয়ো মুছে ফেলা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ইউটিউব অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্ব জুড়ে ৪৮ লক্ষ চ্যানেল বন্ধ করেছে। মূলত নীতি লঙ্ঘনের জন্য। ইউটিউব আরও জানিয়েছে, যে তারা কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ১০৩ কোটি মন্তব্য মুছে দিয়েছে। জানানো হয়েছে, মানুষ এবং প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই ধরনের মন্তব্যগুলি মুছে ফেলা হয়েছে।