আবার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাদক নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি সাফল্যের মুখ দেখেছে বলেই তাঁর দাবি। তার জেরেই মোদী জমানায় এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ কেজি মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে প্রশাসন। মাদক সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতারও ২৬০ শতাংশ বেড়েছে। শনিবার মাদক চোরাচালান এবং জাতীয় নিরাপত্তা নিয়ে চণ্ডীগড়ে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো(এনসিবি) আয়োজিত দু’দিনের জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনে এই কথাই বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, নানা সময়ে এনসিবি’র অভিযানে উদ্ধার হওয়া বাজেয়াপ্ত প্রায় ৩০ কেজি গাঁজা পোড়ানো হয়েছে চেন্নাই, গুয়াহাটি এবং নয়াদিল্লিতেও। স্বাধীনতা ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে বাজেয়াপ্ত মোট ৭৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারের লক্ষ্য রয়েছে এনসিবি’র। এদিন নয়াদিল্লি, গুয়াহাটি এবং কলকাতা–সহ একাধিক শহরে প্রায় ৩১ হাজার কেজি মাদক পুড়িয়ে দেয় এনসিবি’র একাধিক দল। পাঞ্জাবের রাজভবনে বসেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
ঠিক কী বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘মাদকের বাড়বাড়ন্ত গোটা প্রজন্মকে নষ্ট করে দেয়। তাই এই নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নেওয়া উচিত। ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই কমেছে মাদক পাচার। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেই নরেন্দ্র মোদী সরকার এই নীতি নিয়েছে। স্বাধীনতার পর মাদক চোরাচালান রুখতে এর আগে কোনও সরকার এমন সক্রিয় পদক্ষেপ করেনি। মাদক কারবার থেকে যে অর্থ আসে, তা সন্ত্রাস এবং নাশকতার কাজে ব্যবহার হয়। দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়। তাই জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে মাদক চোরাচালান বন্ধ হওয়া উচিত। কেন্দ্র একা লড়তে পারবে না। রাজ্যকেও আরও লড়তে হবে। তবেই সমস্যার সমাধান হবে।’
এখন পাঞ্জাবে সরকার গঠন করেছে আম আদমি পার্টি। বিজেপি সেখানে সরকার গড়ার লড়াইয়ে নেমে গোহারা হেরেছে। তাই পাঞ্জাবকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অমিত শাহ বলেন, ‘সকলেই বলে পাঞ্জাবের মতো সীমান্ত রাজ্যে মাদক পাচারের সমস্যা রয়েছে। তাই এই বিষয়ে আমাদের আরও বেশি সতর্ক থাকতে হবে। পাঞ্জাব সরকার জমি দিলে অমৃতসরে একটি ফরেনসিক গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করবে কেন্দ্র। পাঞ্জাবের যুব সমাজকে মাদকের প্রভাব থেকে মুক্ত করতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে কেন্দ্র।