অভিষেকেই শেয়ার বাজারে বাজিমাত করল জোম্যাটো। শুক্রবার বাজারে ৬৫ শতাংশ বাড়ল ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মের শেয়ার। তার ফলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বিলিনেওয়ার হওয়ার সুযোগ পেলেন জোম্যাটোর প্রতিষ্ঠাতা দীপিন্দর মালিক।
শুক্রবার বাজার বন্ধের সময় বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে (বিএসই) জোম্যাটোর প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়ায় ১২৫.৩ টাকা। বাজার দর ঠেকেছে ১৩.৩ বিলিয়ন ডলারে। শেয়ার লাজারে অভিষেকের পরই একটা সময় সেই অঙ্কটা এক লাখ কোটি টাকার গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তার ফলে বাজারে শেয়ার ছাড়া সবথেকে মূল্যবান সংস্থাগুলির প্রথম ৫০-এ ঢুকে পড়ে জোম্যাটো। এমনকী মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, টাটা মোটর্স, কোল ইন্ডিয়ার মতো সংস্থাকেও টপকে গিয়েছে ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম। এমনিতে বাজার খোলার সময় জোম্যাটোর একটি শেয়ারের দাম ছিল ১১৬ টাকা। যা ইনিশিয়াল পাবলিক অফারিংয়ে (আইপিও) প্রতিটি শেয়ারের থেকে ৫৩ শতাংশ বেশি। আইওপিতে ৭৬ টাকায় একটি শেয়ার কেনা যাচ্ছিল। অভিষেকের দিনেই একটা সময় তো একটি শেয়ারের দাম ১৩৮.৯ টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। যা শুক্রবার সর্বোচ্চ ছিল।
জোম্যাটোর দুর্দান্ত অভিষেকের সৌজন্যে দিনের শেষে দীপিন্দরের অংশীদারিত্বের পরিমাণ একলাফে বেড়ে গিয়েছে। ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মে দীপিন্দরের ৫.৫ শতাংশ বা ৩৬৯.৪৭ মিলিয়ন শেয়ার আছে। চলতি বছরের এপ্রিলে তাঁর সামনে ৩৬৮.৫ মিলিয়ন শেয়ার ছিল। যদি সেই সুযোগ কাজে লাগান, তাহলে শুক্রবারের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়াবে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার। যিনি জোম্যাটের সাফল্যের জন্য একটি ব্লগ পোস্টে কর্মী, বিনিয়োগকারী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি জানি না যে আমরা সাফল্য পাব নাকি ব্যর্থ হব, তবে আমরা বরাবরের মতো নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেব।'
গত সপ্তাহে আইপিওতে সংরক্ষিত শেয়ার সংখ্যার প্রায় ৪০ গুণ বেশি সাবস্ক্রাইব করেন খুচরো লগ্নিকারীরা। তথ্য অনুযায়ী, ৭১.৯২ কোটি (৭১৯.২৩ মিলিয়ন) আইপিওয়ের নিরিখে ২৯.০৪ বিলিয়ন ইক্যুইটি শেয়ারের বিড জমা পড়ে। আইপিওয়ের মাধ্যমে আপাতত ৯,৩৭৫ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার লক্ষ্য ছিল জোম্যাটোর। তারইমধ্যে শেয়ার বাজারে জোম্যাটোর পদার্পণ নিয়ে আশাবাদী ছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অ্যাক্সি সিকিউরিটিজের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার নবীন কুলকার্নি জানান, জোম্যাটোর শেয়ারের জন্য যেভাবে হুড়োহুড়ি পড়েছে, তাতে নয়া এবং পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়িক মডেলের ক্ষেত্রে লগ্নিকারীরা যে ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত আছেন, তা স্পষ্ট। শুক্রবার জোম্যাটোর দুরন্ত অভিষেকের কারণে ভারতের স্টার্ট-আপ ক্ষেত্রের কাছে ইতিবাচক বার্তা যাবে।