একে করোনাকাল। তার ওপর মারাত্মক ঠান্ডা দেশজুড়ে। সঙ্গে আছে নতুন স্ট্রেনের চোখ রাঙানি। ফলে অধিকাংশ মানুষ ঘরে বসেই নতুন বছরকে স্বাগত জানালেন। এর ফলে পোয়াবারো হল বিভিন্ন ফুড ডেলিভারি অ্যাপগুলির। ৩১-শের রাতে রেকর্ড ব্যবসা করল জোম্যাটো।
কেমন বিক্রিবাটা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার রাতে রিয়েল টাইম আপডেট দেন জোম্য়াটোর প্রতিষ্ঠাতা তথা সিইও দীপিন্দর গোয়েল। একটা সময় প্রতি মিনিটে ৪২৫৪ অর্ডার এসেছে ফুড ডেলিভারি ও লিস্টিং অ্যাপটিতে। প্রথমবার ৭.৫৩-র সময় গোয়েল জানান যে তাদের পুরো টিম মারাত্মক চাপে রয়েছে। সেই মুহূর্তে ১.৪ লক্ষ মানুষকে খাবার ডেলিভারি করা হচ্ছিল।
তার মধ্যে ২০ হাজার বিরিয়ানির অর্ডার ও ১৬ হাজার পিৎজার অর্ডার আছে বলে তিনি জানান। এমনকী ৪০ শতাংশ মানুষ যে একস্ট্রা চিজ পিৎজা অর্ডার দিয়েছেন সেটাও জানান দীপিন্দর। ভারতের বাইরে বিশেষত পশ্চিম এশিয়া থেকে অনেক মানুষ ভারতে তাদের প্রিয়জনের জন্য খাবার অর্ডার করছেন বলেও তিনি জানান।
যত রাত বেড়েছে, তত বেড়েচ্ছে অর্ডারের সংখ্যা। ছয়টার সময় আড়াই হাজার অর্ডার গড়ে আসছিল। সেটা বেড়ে ৪১০০ হয় রাত আটটা বাইশে। তাঁর তথ্যপ্রযুক্তির দলের ওপর খুব চাপ পড়ছিল বলে তিনি জানান। এমনকী জুম মিটিংয়ের ছবিও টুইটারে শেয়ার করেন তিনি।
পয়লা জানুয়ারি আপডেটেড তথ্য দেন দীপিন্দর। তিনি জানান যে সর্বাধিক মিনিটে ৪২৫৪টি অর্ডার এসেছিল ৩১ রাতে। এক লাখ ডেলিভারি পার্টনার থাকা সত্ত্বেও এত অর্ডার এসেছে যে কুলিয়ে উঠতে পারেনি জোম্যাটো। সবমিলিয়ে ৭৫ কোটি টাকার কারবার হয়েছে যেটা একশো কোটি হতে পারত বলে মনে করেন দীপিন্দর গোয়েল।
একই সঙ্গে তিনি জানান যে এখন অভিযোগের সংখ্যাও অনেক কমে গিয়েছে। যেভাবে করোনাকালে একযোগে হোটেল ইন্ডাস্ট্রি ও ফুড অ্যাপেরা কাজ করছে, সেটিকে কুর্নিশ করেন তিনি।