গত ২৯ অক্টোবর জোমাটোর 'হাইপারপিওর' গোডাউনে ৯০টি মাশরুমের প্যাকেট মিলেছিল, যাতে কি না লেখা ছিল 'প্যাকেজিং ৩০ অক্টোবর'। অর্থাৎ, দিন আসার আগেই সেই তারিখের প্যাকেজিংয়ের লেবেল সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। এহেন বিতর্কের আবহে এবার মুখ খুললেন জোমাটো প্রধান দীপিন্দর গোয়েল। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, উল্লেখিত মাশরুমের প্যাকেটগুলিতে ভুলবশত সেই তারিখ প্রিন্ট করা হয়েছিল। এবং সেই ভুল হয়েছিল সরবরাহকারীর দিক থেকে। পাশাপাশি তাঁর আরও দাবি, সময়মতো বিষয়টি তাদের নজরে আসতেই সেই মাশরুমের প্যাকেটগুলি সরাতে উদ্যত হয়েছিল তারা। তাও এ নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় নাকি তিনি 'হতবাক'। (আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় IPO কবে আনছে জিও? বাজারে আসবে রিলায়েন্স রিটেলের শেয়ারও)
এই নিয়ে দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দীপিন্দর গোয়েল লেখেন, 'আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে FSSAI দল এসে এটা স্পষ্ট করেছে, যে ৯০ প্যাকেট বটন মাশুম নিয়ে এত বিতর্ক, সেগুলির গায়ে ভুল প্যাকেজিং ডেট সাঁটানো হয়েছিল। এবং আগেই তা আমাদের ওয়্যারহাউজের কর্মীরা বাতিল করে দিয়েছিল। এটা স্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। তবে ম্যানুয়াল টাইপিংয়ের ভুলের কারণে এমনটা ঘটেছে। এবং এই ভুলটা সরবরাহকারীর দিক থেকে হয়েছে। তাও আমরা সেই সরবরাহকারীকে আমাদের সাপ্লাইয়ারের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। হাইপারপিওরে আমরা কঠোর গাইডলাইন মেনে কাজ করি।'
উল্লেখ্য, জোমাটোর 'হাইপারপিওর' শাক-সব্জি, ফল, মাংস, সিফুড সহ আরও সব সামগ্রী সরবরাহ করে থাকে হোটেল, রেস্তোরাঁ, কেটরারদের। হায়দরাবাদের কুকটপল্লীতে অবস্থিত হাইপারপিওরের ওয়্যারহাউজে সেই ৯০ প্যাকেট 'ভুল তারিখের' মাশরুম দেখা গিয়েছিল। আর এর জেরেই বিতর্কের সূচনা ঘটে। এই নিয়ে দীপিন্দর নিজের পোস্টে লেখেন, 'আমরা খাদ্যের মান সঠিক রাখার বিষয়ে বদ্ধপরিকর। এবং এই নিয়ে কোনও আপস করতে রাজি নই। সম্প্রতি আমাদের হায়দরাবাদের ওয়্যারহাউজে যে ইনস্পেকশন হয়, তাতে আমরা এ প্লাস রেটিং পেয়েছি। যেখানে কয়েক কোটি টাকার জিনিস আছে, সেখানে মাত্র ৭২০০ টাকার কয়েকটা মাশরুমের প্যাকেট নিয়ে এত কীসের চর্চা, তা বুঝলাম না। আর গ্রাহকের কাছে এই মাশরুম যেত না। হয়ত এই বিষয়টি ভাইরাল করে, জোমাটো ব্র্যান্ডকে কালিমালিপ্ত করে কারও কোনও লাভ হতে পারে। বা হয়ত আমরা সবাই এটা বিশ্বাস করতে ভালোবাসি যে - সব বড় ব্যবসাই বাজে হয়।'