করোনার লড়াইয়ে আসতে চলেছে আরও একটি অস্ত্র। দেশ তথা রাজ্যেও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় পাশ করল জাইকোভ-ডি (ZyCoV-D Corona Vaccine) করোনা প্রতিষেধক।
কতজনের উপর ট্রায়াল করা হয়েছে?
আমদাবাদের সংস্থা জাইডাস ক্যাডিার তৈরি এই প্রতিষেধক তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশে মোট ২৮ হাজার ২১৬ জনের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। এর আগের দুটি পর্বে দেশজুড়ে প্রায় ১ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছিল। দুটি পর্যায়েই ভাল ফলাফল আসায় কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ কমিটি তৃতীয় ট্রায়ালের অনুমতি দেয়।
পশ্চিমবঙ্গেও ট্রায়াল হয়েছে টিকার :
তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে নাম ছিল পশ্চিমবঙ্গের ৬টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেরও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২টি বেসরকারি হাসপাতালেই টিকার ট্রায়াল হয়।
এ বিষয়ে টিকাটির গবেষণার সংযোগকারী প্রতিষ্ঠানের এক কর্তা জানান, 'প্রাথমিকভাবে রাজ্যে ৬টি হাসপাতালে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর টিকাটি প্রয়োগের কথা ছিল। কিন্তু পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক মেলেনি। ফলে ২টি হাসপাতালে ১২০০ জনের উপরেই ট্রায়াল চালানো হয়।'
ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন নেই :
অন্যান্য টিকাগুলি সিরিঞ্জের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হলেও এটি সেভাবে করার প্রয়োজন নেই। 'ফার্মাজেটের' মাধ্যমে ত্বকের উপর টিকা দেওয়া হয়। অনেকটা আগেকার বিসিজি টিকারই মতো।
সংরক্ষণ করাও সহজ:
জাইকোভ ডি করোনা টিকা সর্বাধিক ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় রাখা যায়। ফলে এটি সংরক্ষণ করতে সাধারণ ফ্রিজারই যথেষ্ট। বিশেষ ফ্রিজারের প্রয়োজন নেই।
মোট তিনটি ডোজ :
এই টিকার ক্ষেত্রে এটি বেশ আলাদা। মোট তিনটি ডোজ গ্রহণ করতে হবে এই টিকার। প্রথম ডোজের ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ। সেটার ৫৬ দিনের মাথায় তৃতীয় ডোজ নিতে হবে।
কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রে ডোজ দুটি।