জাইকোভ-ডি করোনাভাইরাস টিকাকে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্র। ১২ বছর ও তার ঊর্ধ্বের বয়সিরা এই টিকা নিতে পারবেন। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগস কনট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI)। এটিই বিশ্বের প্রথম ডিএনএ-ভিত্তিক কোভিড-১৯ টিকা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরিকরা হয়েছে।
১. কোভিড-১৯ এর ডিএনএ ভ্যাকসিনটি আহমেদাবাদের ফার্মা সংস্থা জাইডাস ক্যাডিলা তৈরি করছে। নাম জাইকোভ-ডি (ZyCoV-D)।
২. এর আগে জুলাই মাসে এই ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন চায় সংস্থা। জাইকোভ-ডি-র ফেজ 3-এর ট্রায়ালের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী এটির কার্যকারিতা ৬৬.৬ শতাংশ।
৩. ভারতে প্রায় ৫০ টি স্থানে ২৮ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের উপর এই ট্রায়াল হয়।
৪. নিউ ইয়র্ক টাইমসের রিপোর্ট অনুসারে, ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলাকালীন কোনও স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যে গুরুতর অসুস্থতা বা প্রাণহানির রেকর্ড নেই।
৫. জাইডাস ক্যাডিলার জাইকোভ-ডি একটি জেনেটিক বা নিউক্লিক অ্যাসিড ভ্যাকসিন। একে তৃতীয় প্রজন্মের ভ্যাকসিনও বলা হয়। ডিএনএ-ভিত্তিক ভ্যাকসিনে বিশেষভাবে ইঞ্জিনিয়ার্ড DNA ব্যবহার করে শরীরে ভাইরাস, ব্যাকটিরিয়া এবং পরজীবীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা জাগিয়ে তোলা হয়।
৬. এটি করোনার নয়া ও শক্তিশালী বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট যেমন, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধেও কার্যকরী, দাবি সংস্থার।
৭. এই টিকার তিন ডোজ নিতে হবে। এই টিকার প্রয়োগে শরীরে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিন তৈরি হয়। ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের ক্ষমতা তৈরিতে সাহায্য করে।
৮. এটি ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ হবে না। ফার্মাজেটের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হবে।
এই যন্ত্রের মাধ্যমে টিকা অত্যন্ত সরু একটি স্ট্রিমের আকার ভীষণই দ্রুত গতিতে বের হয়।সরাসরি ত্বকের অভ্যন্তরে সূচের মতো করেই এই টিকার স্ট্রিম প্রবেশ করে যায়। এক সেকেন্ডেরও দশ ভাগের এক ভাগ সময় লাগে। এই প্রযুক্তির মূল লক্ষ্য হল মেডিক্যাল বর্জ্য দূরীকরণ।