অ্যান্টিবডি ককটেলের ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন চাইল জাইডাস ক্যাডিলা। যা মুদৃ উপসর্গ-বিশিষ্ট করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।
ভারতীয় সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে, প্রাণীদের উপরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় ফুসফুসের সমস্যা কম করেছে জেডআরসি-৩৩০৮ নামে ‘ক্যান্ডিডেট’। যা সুরক্ষিত এবং সহনশীল বলেও প্রমাণিত হয়েছে। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে মানবদেহে প্রাথমিক থেকে শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) থেকে অনুমোদন চেয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, দুটি মনোকোনাল অ্যান্টিবডির ‘ককটেল’ হল জেডআরসি-৩৩০৮। যা করোনা মোকাবিলায় মানবদেহে গড়ে ওঠা অ্যান্টিবডির মতোই। জাইডাস ক্যাডিলার ম্যানেজিং ডিরেক্টর শারভিল প্যাটেল বলেন, ‘এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে করোনাভাইরাসের মোকাবিলার জন্য বেশি সুরক্ষিত এবং আরও বেশি কার্যকরী চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।’
ইতিমধ্যে একইরকম চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন খাদ্য এবং ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যা তৈরি করেছে ভির টেকনোলজি এবং গ্ল্যাক্সো স্মিথ ক্লাইন। একইরকম পন্থা বের করেছে রেজেনেরন ফার্মাকিউটিকালস এবং এলি লিলিও।
রেজেনেরন ফার্মাকিউটিকালসের অ্যান্টিবডি ককটেল তো ভারতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদনও রয়েছে। যা বণ্টন করছে ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সিপলা। চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই ভারতীয় বাজারে সেই ককটেল ছাড়া হয়েছে। ভারতে প্রথম সেই ভারতে প্রথম ককটেল ইনজেকশন পেয়েছেন ৮৪ বছরের মহব্বত সিং৷ তিনি হরিয়ানার বাসিন্দা৷ করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মহব্বতকে অ্যান্টিবডি ককটেল ইনজেকশন দেওয়া হয়৷ বুধবার সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সেদিনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।