তিনি চলে সাত বছর আগে, তবুও তাঁর স্মৃতি সততই উজ্জ্বল।তিনি বেঁচে রয়েছেন তাঁর সৃষ্টিতে। আজ মান্না দে'র ১০১ তম জন্মবার্ষিকী।
1/15শুধু বাংলার নয় ভারতীয় উপমহাদেশের সঙ্গীত আকাশের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র মান্না দে। ১লা মে মান্না দে'র ১০১ তম জন্মদিন। আমাদের ছেড়ে তিনি চলে গিয়েছেন ৭ বছর আগে, তবুও তিনি আছেন। তাঁর সৃষ্টির মধ্যে দিয়ে, তাঁর সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে।
2/15১৯১৯ সালের আজকের দিনে কলকাতায় জন্ম প্রবোধ চন্দ্র দে'র। হ্যাঁ, বাবা-মা এই নামটাই দিয়েছিল তাঁকে। কিন্তু নিজের মঞ্চ নামেই বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত তিনি। তিনি মান্না দে।
3/15ছোট থেকেই সঙ্গীতের জগতে বেড়ে উঠা মান্নাদের। মা মহামায়া এবং বাবা পূর্ণা চন্দ্র দে তো ছিলেন, তবে মান্না দে'র সঙ্গীতের আসল অনুপ্রেণা তাঁর কাকা সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দে।
4/15১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে কাকার হাত ধরে বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) আসেন মান্না দে। সেই বছরই কাকার সঙ্গীত পরিচালনায় তামান্না ছবিতে একটি ডুয়েট গান গান মান্না দে। সেটাই ছিল তাঁর বলিউড ডেব্যিউ। এরপর আট দশক দীর্ঘ কেরিয়ারের ৪০০০-এর বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি। (ছবি-ফেসবুক)
5/15সোলো গায়ক হিসাবে তাঁর প্রথম ব্রেক আসে রাম রাজ্য ছবিতে। 'গায়ি তু তো গায়ি সীতা সতী' গানটি রেকর্ড করেন মান্না দে। ১৯৪৩ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। জানা যায় স্বয়ং গান্ধীজি এই ছবিটি দেখেছিলেন। (ছবি-সংগৃহীত)
6/15শচীন দেব বর্মনের সঙ্গে মান্না দে'র প্রথম অ্যাসোসিয়েশন ১৯৫০ সালের মাশাল ছবিতে। উপর গগন বিশাল এবং দুনিয়াকে লোগো-ছবিতে দুটো গান রেকর্ড করেছিলেন মান্না দে। এরপর থেকই শুরু সুপারহিট এই সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক জুটির সফর।
7/15মান্না দে গোটা দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন ১৯৫৩ সালে দো বিঘা জমি মুক্তির পর। সলিল চৌধুরীর কম্পোজিশনে এই ছবিতে গান গেয়েছিলেন মান্না দে।
8/15এই বছরই সুলোচনা কুমারণকে বিয়ে করেন মান্না দে। তাঁদের দুই কন্যা সুরোমা (১৯৫৬) এবং সুমিতা (১৯৫৮)।
9/15লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে তাঁর প্রথম ডুয়েট ছিল লপট কে পোট পাহানে বিক্রল। আশা ভোঁসলের সঙ্গে মান্না দে'র গাওয়া প্রথম গান ও রাত গয়ি ফির দিন আয়া।
10/15১৯৬৯ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরা গায়কের স্বীকৃতি পান মান্না দে। মেরে হুজুর ছবির জন্য আসে এই সম্মান।
11/15১৯৯২ সালে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অলবিদা জানান মান্না দে, তবে বাংলা ছবি এবং একক সঙ্গীতের কাজ জারি রেখেছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী।
12/15প্রায় আট দশক ব্যাপ্ত সঙ্গীত জীবনে হিন্দি এবং বাংলার পাশাপাশি মৈথিলি, পঞ্জাবি, গুজরাতি, মারাঠি, কন্নড়, মালায়ালম ভাষাতে গান রেকর্ড করেছেন মান্না দে।
13/15মান্না দে'র আত্মজীবনীর নাম জীবনের জলসাঘরে। ২০০৫ সালে প্রকাশিত হয় এই বই। তাঁকে নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মও। সেই ছবির শ্যুটিংয়েই কলকাতার কফি হাউসে মান্না দে। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় এই তথ্যচিত্র।
14/15ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য বহু সম্মান পেয়েছেন মান্না দে। ভারত সরকারের তরফে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে তাঁকে।
15/15২০১৩ সালের সালের ২৪শে অক্টোবর জীবন খাতার পাতায় সব হিসেব-নিকেশ চুকিয়ে জীবনের জলসাঘর থেকে বিদায় নেন মান্না দে।