২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর- সেদিন ভারত এমন পাঁচটা ভুল করেছিল যে পুরো বিশ্বকাপে দারুণ খেলেও সেই স্বপ্নের ট্রফিটা ছোঁয়া হয়নি। ২০২৪ সালের ২৯ জুন যাতে স্বপ্নের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা ছুঁতে পারে, সেজন্য ওই ভুলগুলি এড়িয়ে যেতেই হবে। কোনগুলি?
1/6 ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর- সেই অভিশপ্ত দিনটা কোনওদিন কোনও ভারতীয় ভুলতে পারবেন না সম্ভবত। পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেও একটা খারাপ দিন আর একগুচ্ছ ভুলের জন্য ১৪০ কোটি মানুষের হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। সবথেকে বেশি কষ্ট পেয়েছিলেন তো রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহরাই। আর সেই অভিশপ্ত রাতের সাত মাস পরে শনিবার ফের আরও একটা ফাইনালে নামছে ভারত। পুরো দেশের একটাই প্রার্থনা, ২৯ জুনের রাতটা যেন আনন্দের হয়। চোখের জল ফেলতে রাজি সবাই। কিন্তু সেটা আনন্দাশ্রু। (ছবি সৌজন্যে রয়টার্স এবং পিটিআই)
2/6 ‘ইনটেন্ট’ দেখাতে হবে ভারতকে: আমদাবাদে রোহিত আউট হওয়ার পরেই পুরোপুরি খোলসে ঢুকে গিয়েছিল ভারত। তাঁদের উপর অজিদের চেপে বসতে দিয়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। ফলস্বরূপ শেষ ৪০ ওভারে মাত্র চারটি বাউন্ডারি হয়েছিল। স্ট্রাইকও ঠিকমতো রোটেট পারেননি। ফলস্বরূপ রানটা ২৪০-তেই আটকে গিয়েছিল। আর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ঠিক এই ভুলটাই করা যাবে না। ‘ইনটেন্ট’ দেখাতে হবে ভারতীয় ব্যাটারদের। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)
3/6 ডট বলের সংখ্যা কমাতে হবে: অভিশপ্ত ১৯ নভেম্বরে ভারত ৩০০টি বলের মধ্যে ১৩৮টি বলে কোনও রান করতে পারেনি ভারত। অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ ডট বল হয়েছিল। ওই ১৩৮টি বলের মধ্যে যদি ৫০টি বলেও ভারত একটা রানও নিতে পারত, তাহলেই স্কোরটা ৩০০-র কাছে পৌঁছে যেত। তখন হয়ত ১৯ নভেম্বরের রাতটা স্বপ্নের হয়ে উঠত। ২৯ জুনের রাতটা যাতে সত্যিই স্বপ্নের হয়ে ওঠে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য কোনওভাবে এত ডট বল খেলতে পারবে না ভারত। (ছবি সৌজন্যে এপি)
4/6 বোর্ডে কম রান উঠলেও ঘাবড়ানো যাবে না: আমদাবাদে ভারত ২৪০ রান তোলার পরে রোহিতরা যে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন, সেটা স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল। যে মহম্মদ শামিকে সাধারণত ‘ফার্স্ট চেঞ্জ’ হিসেবে আনা হত, তাঁকে নতুন বল দেওয়া হয়েছিল। কিছুটা ‘প্যানিক’ করেই সম্ভবত বেশি জোর দিতে যাচ্ছিলেন, তাতে হিতে বিপরীত হয়েছিল। আবার মহম্মদ সিরাজকে এতটাই পরে আনা হয়েছিল, তাঁর কিছু করার ছিল না। তাই শনিবার ভারতীয় দলকে বিশ্বাস রাখতে হবে যে তারা যেমন খেলেছে, সেরকমভাবেই জয়ের ক্ষমতা আছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির তত্ত্ব মেনে ‘প্রসেস’-টায় ফোকাস করতে হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
5/6 অ্যাটাকিং ফিল্ডিং: ট্র্যাভিড হেডরা যখন খেলাটা ধরে নিয়েছিলেন, তখন কিছুটা রক্ষণাত্মক হয়ে গিয়েছিল ভারত। স্পিনারদের বোলিংয়ের সময় স্লিপের ফিল্ডারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় একাধিকবার স্লিপ বল চলে গিয়েছিল। সেটা এবার করা যাবে না। কারণ ওরকম কম স্কোর করলে বিপক্ষকে অল-আউট না করে কোনওভাবেই ম্যাচ জেতা যাবে না (সম্ভবত পাকিস্তানই ব্যতিক্রম)। তাই অ্যাটাকিং ফিল্ডিং সাজাতেই হবে। বিপক্ষের ব্যাটারদের সহজেই স্ট্রাইক রোটেট করতে দেওয়া যাবে না। ১৯ নভেম্বরের অভিশপ্ত রাতে অজিদের সেই স্ট্রাইক রোটেশন আটকাতে পারেনি ভারত। ফলে পরের দিকে হেডদের উপর চাপটাই তৈরি করা যায়নি। (ছবি সৌজন্যে এপি)
6/6 একেবারে নিখুঁত ফিল্ডিং করতে হবে: ১৯ নভেম্বর ফিল্ডিংয়ের দিক থেকেও সেরাটা দিতে পারেনি ভারতীয় দল। প্রথম বলেই ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ উঠেছিল। বিরাট কোহলি বা শুভমন গিল কেউই ক্যাচটা ধরতে যাননি। আবার পুরো বিশ্বকাপে ভালো কিপিং করেও ফাইনালে কিছুটা নড়বড়ে ছিলেন কেএল রাহুল। ফলে অনেক অতিরিক্ত রান পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। শনিবার ফাইনালে ফিল্ডিংয়ে একটাও ভুল করা যাবে না। একটাও নয়। (ছবি সৌজন্যে আইসিসি)