বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে বিগত ২৭ জানুয়ারি থেকে লাগাতার আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। ডিএ ইস্যুতে সরকারকে চাপে ফেলতে কর্মবিরতি পালন করেছেন সরকারি কর্মীরা। আগামী ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছেন তাঁরা। এই ধর্মঘটেরই বিরোধিতা করে এবার মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে।
1/5ডিএ আদায়ের জন্য সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতা করে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রমাপ্রসাদ সরকার। মামলাকারীর প্রশ্ন, মহার্ঘ ভাতা সরকারি কর্মচারীদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু সেটা না পেলে ধর্মঘট ডাকাও কি মৌলিক অধিকারেক মধ্যে পড়ে?
2/5প্রসঙ্গত, বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝেই গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুই ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিল সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত পেন-ডাউন রাখেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এদিকে ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। তবে এত কিছু করেও হকের টাকা মেলেনি।
3/5আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মচারীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করা হল। কিন্তু তাঁদের দাবি, ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই।
4/5এই আবহে বকেয়া ডিএ না মেটানো হলে ফের একবার পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীরা ঠিক করেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটায় কোনও তথ্য দেবেন না তাঁরা। এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা।
5/5৫ মার্চ, রবিবার, ময়দান এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন কররা ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মপ্রার্থী এবং বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এই আবহে সেদিন ময়দানে বড় জমায়েত করা হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।