6th Pay Commission DA: আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ পান পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা। যে বেতন কমিশনের সুপারিশ ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছিল। ২০২৩ সালের শুরুতে কি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হবে, তা দেখে নিন -
1/7নয়া বছরের শুরুতে কি রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার? ডিএ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মধ্যে তেমনই একটি সম্ভাবনা উঠে আসছে। একটি মহলের দাবি, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে এএফপি এবং এএনআই ফাইল)
2/7এমনিতে বছরে দু'বার (জানুয়ারি এবং জুলাই) সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে সেই নিয়মকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সম্পূর্ণ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। গত বছর ১ জানুয়ারি ষষ্ঠ বেতন কমিশনের তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো করেছিল। তারপর থেকে একবারও ডিএয়ের ঘোষণা করা হয়নি। একটি মহলের দাবি, এবার নয়া বছরের শুরুতে ঠিক সেটাই করা হতে পারে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
3/7ওই মহলের দাবি, গত বছর ১ জানুয়ারি যেমন তিন শতাংশ ডিএ দেওয়া হয়েছিল, এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সমপরিমাণ ডিএ বাড়ানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে নয়া বছরের শুরু থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্ত ডিএয়ের পরিমাণ হবে ছয় শতাংশ। তাতেও অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ডিএয়ের ফারাক তেমন কমবে না। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা আপাতত ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। যদি তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানো হয়, তাহলেও ফারাক দাঁড়াবে ৩২ শতাংশ। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
4/7সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ডিএ নিয়ে যখন পরপর মামলা হারছে রাজ্য সরকার, তখন কিছুটা ডিএ প্রদান করে কিছুটা মুখরক্ষা করার চেষ্টা করতে পারে নবান্ন। সেক্ষেত্রে একটা বার্তা দেওয়া যাবে যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়াতে কোনও সমস্যা নেই রাজ্যের। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণেই ডিএ বাড়ানো যাচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত মামলায় সেই বিষয়টি ব্যবহার করতে পারে রাজ্য সরকার। কারণ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজ্যের আর্থিক সংকটই তুলে ধরা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
5/7যদিও বিষয়টি নিয়ে সরকারিভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দিনকয়েক আগে শুধুমাত্র রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়েছিলেন, 'ডিএ নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে, এমনটা নয়।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
6/7এমনিতে বকেয়া ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার। আপাতত শীর্ষ আদালত সেই মামলা চলছে। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সেই মামলা উঠেছিল। আগামী সোমবার (৫ ডিসেম্বর) মামলার শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উপর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএয়ের ভাগ্য নির্ভর করছে। ডিএ প্রদানের বিষয়ে আমরা সংবেদনশীল।' (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)
7/7উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ডিএ মামলা চলছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল, হাইকোর্ট মিলিয়ে শুধুমাত্র একটি রায় রাজ্যের পক্ষে গিয়েছে। বাকি প্রতিটি ক্ষেত্রে ধাক্কা খেয়েছে। চলতি বছরের ২০ মে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিতে হবে। সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। তা ২২ সেপ্টম্বর খারিজ করে ২০ মে'র রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। তারইমধ্যে রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয়েছে। যা আগামী ৭ ডিসেম্বর শুনানির জন্য ফের হাইকোর্টে উঠবে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে ব্লুমবার্গ)