রাজ্যে ডিএ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তে চলেছে আগামী ক'দিন... more
রাজ্যে ডিএ আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়তে চলেছে আগামী ক'দিনে। অনশন উঠলেও ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন জারি থাকবে বলে জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর এরই মাঝে মোদী সরকারের তরফে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করা হল। আর তা নিয়ে রাজ্য সরাকরের ওপর বাড়ল চাপ। এই আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তোপ দাগলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
1/5কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য আরও ৪ শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করে গত শুক্রবার। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে ৪২ শতাংশ হয়েছে। এর ফলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ফারাক বেড়ে হয়েছে ৩৬ শতাংশ। এই আবহে শুভেন্দু অধিকারী বাকি সব রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাকের একটি তালিকা প্রকাশ করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু দাবি করেন, এই সরকার দেউলিয়া।
2/5বিরোধী দলনেতা টুইট বার্তায় লিখেছেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কর্মী এবং ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির ক্যারিশমা। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য আরও বাড়ল।
3/5শুভেন্দু আরও লেখেন, 'কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ।' এদিকে বর্তমানে দেশের ১২টি রাজ্যেই কেন্দ্রীয় হারের তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ-র ফারাক ৪ শতাংশের। এদিকে শুভেন্দুর তালিকায় সবথেকে নীচে থাকা নাম হল ত্রিপুরা। সেই রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ-র ফারাক ২২ শতাংশ।
4/5এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার কথায়, 'বাম আমলে মাত্র ৩৩ শতাংশ ডিএ দিত, সেখানে আমাদের সরকার এসে ১০৬ শতাংশ দিচ্ছে। কেন্দ্রের চাকরি ও বেতন, দুটোই আলাদা। রাজ্যে চাকরি করে কেন্দ্রের সমান বেতন দাবি করা অনৈতিক। আমি সীমিত সামর্থ্য মেনে যতটা পারি ডিএ দিয়েছি। কিন্তু একবারও তো কেউ বলছেন না, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের ন্যায্য বকেয়া পাওনা কেন দেওয়া হচ্ছে না?'
5/5অপরদিকে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার হাউজ রেল্ট অ্যালাওয়েন্সের টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ শতাংশ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়। সরকারি কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা কোনও ডিএ পাচ্ছিলেন না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। এই আবহে তাঁরা আরও ৩৯ শতাংশ ডিএ চাইছেন।