আদালতের নির্দেশে এবার থেকে কেন্দ্রীয় হারেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দিতে হত মমতার সরকারকে। তবে মহার্ঘ ভাতা নিয়ে রাজ্য সরকারের গড়িমসি জাড়ি রয়েছে। সরকারের দাবি ছিল, রাজ্য ধুকছে অর্থনৈতিক ভাবে। তবে এরই মাঝে দুর্গাপুজোর জন্য ক্লাবগুলিকে বিপুল পরিমাণ অনুদানের ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এবার সরকারি কর্মচারী মহলে অসন্তো। দেখা দিয়েছে।
1/5কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার বকেয়া মেটাতে বাড়তি প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্য সরকারের। কেন্দ্রীয় কর্মীরা ডিএ পান ৩৪ শতাংশ। রাজ্য সরকারি কর্মীরা ডিএ পান ৩ শতাংশ। ফারাক – ৩১ শতাংশের।
2/5ষষ্ঠ বেতন কমিশন চালুর পর থেকে মাসে ৬৪ কোটি টাকা ডিএ দিতে হবে রাজ্যকে। এই হিসেবে বকেয়া ৩১% ডিএ দিতে সরকারের বছরে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচ হতে পারে। রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের ডিএ না দিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
3/5প্রতিটি ক্লাবকে ৫০ হাজারের বদলে এবার ৬০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি কলকাতা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষৎকে অনুরোধ করা হয়েছে, পুজো কমিটিগুলির বিদ্যুৎ বিলে যেন ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে পুজো অনুদান বাবদ রাজ্যের কোষাগার থেকে খসবে মোট ২৫৮ কোটি টাকা।
4/5গত আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেটে বেতন খাতে বরাদ্দ ছিল প্রায় ৫৯,৫৬৮ কোটি। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের বাজেটে এই খাতে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৬০,৫২৩ কোটি টাকা। অপরদিকে পেনশন খাতে গত আর্থিক বছরের সংশোধিত বাজেটে সংস্থান ছিল প্রায় ২২,৫৩৮ কোটি টাকা। এ বছর ওই খাতে ধরা হয়েছে প্রায় ২২,৯৯৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বরাদ্দ খুব বেশি বাড়েনি। এই পরিস্থিতিতে বর্ধিত হারে ডিএ-র টাকা কোথা থেকে দেওয়া হবে?
5/5চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যের খরচ করার কথা প্রায় ২ লক্ষ ৯১ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সামাজিক খাতে সম্ভাব্য খরচ প্রায় ১ লক্ষ ৮ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে কল্যাণ প্রকল্পগুলিতে মোট প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে খরচ হবে ১৩ হাজার কোটি টাকা। তাছাড়া রাজ্যের ঋণ মেটাতে খরচ হবে প্রায় ৭০ হাজার কোটি টাকা। এই আবহে ডিএ-র বকেয়া টাকা কোথা থেকে আসবে, তা নিয়ে হিসাব মেলাতে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যের। তবে এরই মাঝে পুজো কমিটিগুলোকে বিপুল অঙ্কের অনুদান দেওয়া নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।