আজ ফের একবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে ২০ ও ২১ তারিখের মতো পূর্ণদিবস নয়, আজ দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন সরকারি কর্মচারীরা। আজ দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা তবে তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোনওভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষা ও জরুরি পরিষেবা এই কর্মসূচির কারণে ব্যাহত হবে না।
1/6বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। তার মেয়াদ দুই সপ্তাহ পার করে গিয়েছে। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। তবে এত কিছু করেও হকের টাকা মেলেনি। সরকার এতটুকু টলেনি।
2/6সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী ১০ দিন বাড়তি ছুটি দেন। যেগুলো আগে পাওয়া যেত না। আর এই ছুটিগুলো সরকারি কর্মীরা চান না। এই ছুটির জেরে এমনিতেই সরকারি কাজের গতি ধীর হচ্ছে। এরই সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজ্য সরকারের বহু শূন্যপদ রয়েছে। সেগুলো পূরণ না করার জেরে বহু বাড়তি কাজ সরকারি কর্মীদের করতে হয়। ফলে সেই সমস্ত কাজও এবার থেকে তাঁরা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
3/6এদিকে বকেয়া ডিএ না মেটানো হলে ফের একবার পঞ্চায়েত ভোটে অংশ না নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা। সরকারি কর্মীরা ঠিক করেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটায় কোনও তথ্য দেবেন না তাঁরা। এর আগেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মুখ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা।
4/6এদিকে ৫ মার্চ, রবিবার, ময়দান এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন কররা ডাক দিয়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সেই সঙ্গে আন্দোলনরত কর্মপ্রার্থী এবং বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন কর্মচারী সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। এই আবহে সেদিন ময়দানে বড় জমায়েত করা হবে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
5/6এদিকে আগামী ১৫ মার্চ ফের ডিএ মামলার শুনানি হতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টে। সেদিনই চূড়ান্ত শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি হৃষিকেশ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্লেখ্য, গত বছর ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। সেই রায় কার্যকর করার একেবারে শেষলগ্নে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখা হয়েছিল ২০ মে'র রায়।
6/6গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাজেটে ঘোষণার পর অবশেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় আগামী ১ মার্চ থেকে ছয় শতাংশ ডিএ পাবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীদের দাবি, তাঁরা এই ডিএ প্রত্যাখ্যান করতে চান। উল্লেখ্য, এবার ২৫ মাস বাদে ফের নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করল মমতার সরকার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর থেকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়েনি।