ডিএ-র দাবি না মেটানো হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্... more
ডিএ-র দাবি না মেটানো হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। এদিকে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতার 'হুমকির' জবাবে আবার সরকারি কর্মীরা বলেছিলেন, 'দায়িত্বে আমরাই থাকব, কোনও বেচাল দেখলেই কমিশনকে জানানো হবে।' এরই মাঝে গতকাল একাধিক কর্মসূচির ঘোষণা করেছে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। এদিকে ভোটকর্মীদের নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।
1/5জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত মিললেই যে কোনও দিন ঘোষণা করে দেওয়া হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট। এই আবহে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য জেলাগুলিতে পোলিং বুথ প্রস্তুত করার নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটকর্মী, আধিকারিক নিয়োগ ও তাঁদের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। (PTI)
2/5নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুসারে জেলাশাসক পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক হিসাবে কাজ করবেন। প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়োগ করবেন জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী আধিকারিক। শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি কর্মচারী, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারি, পৌরকর্মী, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীদের ভোটকর্মী হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে। (PTI)
3/5নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট পোর্টালের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দফতর বা প্রতিষ্ঠান থেকে ভোটকর্মী হওয়ার উপযুক্ত কর্মীদের তালিকা পাওয়ার পর যোগ্যপ্রার্থীদের বেছে নেওয়া হবে। তারপর তাঁদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হবে। মহকুমা ও ব্লকস্তরে দুই দফায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তবে এরই মাঝে প্রশ্ন উঠেছে, আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা কি ডিএ-র দাবি মেটার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবেন? (PTI)
4/5সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ মেটানোর দাবিতে আগামী ৩০ মার্চ মহাসমাবেশ হবে সরকারি কর্মীদের। এর পাশাপাশি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, ওইদিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদা এবং হাওড়া থেকে মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহিদ মিনারের ধরনামঞ্চে। (PTI)
5/5অন্যদিকে আগামী ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসার কথা আছে আন্দোলনকারীদের। এছাড়া আগামী ২৬ তারিখ রাষ্ট্রপতিকে গণহারে ইমেল করে ডিএ বঞ্চনার কথা তুলে ধরবেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। এর একদিন পর, ২৭ মার্চ গণ ইমেল করা হবে মুখমন্ত্রীকেও। তাতে সরকারি কর্মীরা জানাবেন, রাজ্য অচল হয়ে পড়লেও কর্মীরা কোনও ভাবে তার জন্য দায়ী থাকবেন না। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মীরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। (PTI)