বকেয়া ডিএ নিয়ে আন্দোলনের ঝাঁঝ বেড়েছে শনিবার। এরই মধ্যে রবিবারের বিশাল মিছিল এবং জমায়েতের ঘোষণা করল রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আজকে থেকে ডিজিটাল স্ট্রাইক শুরু করেছেন সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই মাঝে রবিবারের কর্মসূচির বিষয়ে ঘোষণা করলেন যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।
1/5শনিবার ভাস্কর ঘোষ জানান, রবিবার হাওড়া এবং শিয়ালদা থেকে মিছিল করে শহিদ মিনারে বড় জমায়েত করবেন সরকারি কর্মীরা। এর আগে ১০ মার্চের ধর্ঘটের আগে ৫ মার্চ বিশাল জনসমাবেশের ডাক দিয়েছিল যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ। সেই মতোই ১৯ মার্চ বিশাল জনসমাগমের ডাক দিয়েছে সরকারি কর্মচারী।
2/5উল্লেখ্য, সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, টানা ১৪ দিনের ধর্মঘট ডেকে রাজ্যকে স্তব্ধ করে দেওয়া হোক। এই আবহে বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে 'ভাবনাচিন্তা' করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে। এই আবহে রবিবারের আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বিশাল মিছিলের ডাক দেওয়ায় বৃহত্তর আন্দোলন নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
3/5শনিবার সরকারি কর্মীদের যৌথ মঞ্চের আন্দোলনের ৫১তম দিন। এদিকে ভাস্কর ঘোষদের অনশন চলছে ৩৭ দিন ধরে। এই আবহে সরকারি কর্মীদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে আজ ডিএ-র ধরনা মঞ্চে পৌঁছে যান নওশাদ। সকাল ৬টা থেকে তিনিও সরকারি কর্মীদরে সঙ্গে অনশনে বসেন। এর আগেও ধরনামঞ্চে একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গিয়েছেন। তবে এভাবে একজন বিধায়কের অনশনে যোগ দেওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
4/5উল্লেখ্য, শনিবার গণ অনশনের আহ্বান জানানো হয় যৌথ মঞ্চের তরফে। এই আবহে আজ সকাল ১০টা থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয় গণ অনশন কর্মসূচি। এদিকে আজ থেকে শুরু হবে সরাকরি কর্মীদের ডিজিটাল অসহযোগিতা কর্মসূচিও। আন্দোলনকারী রাজ্য সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না।
5/5ডিজিটাল স্ট্রাইক নিয়ে সরকারি কর্মীরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও নিজের পয়সায় ডেটা খরচ করে আর কোনও সরকারি কাজ করবেন না তাঁরা। ঊর্ধ্বতন কর্তার কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিশিয়াল মেল মারফত জানাতে হবে কর্মীদের। তাছাড়া সরকারি অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজ করবেন না কর্মীরা।