6th Pay Commission DA Strike: ডিএয়ের দাবিতে আজ ২৪ ঘণ্টার প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তা নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাজ্য সরকার। পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, আজ অফিসে না গেলেও কোনও পদক্ষেপ করার সাহস নেই সরকারের।
1/9মহার্ঘ ভাতার (ডিএ) দাবিতে আজ প্রশাসনিক ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। সেই ধর্মঘট রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যের হুঁশিয়ারিতে সরকারি কর্মীদের 'ভয়' না পাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন। ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি, রাজ্য যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা পুরোপুরি বেআইনি। ধর্মঘটে সামিল হলেও রাজ্য সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)
2/9বিষয়টি নিয়ে ডিএয়ের দাবিতে অনশনকারী ভাষ্কর ঘোষ বলেন,'গত ২০ ফেব্রুয়ারি এবং ২১ ফেব্রুয়ারি কর্মবিরতির সময়ও রাজ্য সরকার এরকম বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। তারপরও প্রচুর সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার সাহস হয়নি রাজ্য সরকারের।' (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)
3/9তিনি আরও বলেন, 'বৃহস্পতিবার যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য সরকার, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারও চাকরিজীবনে ছেদ ফেলা বা কোনওরকম আইনি পদক্ষেপ করা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও যদি কাউকে শো-কজ করার সাহস দেখায় সরকার, তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। সেই শোকজের উত্তর আমরা তৈরি করে দেব। আপনি সংশ্লিষ্ট দফতরে সেই বয়ান জমা দিয়ে দেবেন। কারও কোনও ক্ষতি হবে দেব না।' (ছবি সৌজন্যে ফেসবুক)
4/9তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ ধর্মঘটের সঙ্গে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের মধ্যে পার্থক্য আছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘট করার অধিকার আছে। নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে চুক্তি মানতে বাধ্য রাজ্য সরকার। দীর্ঘদিন ধরে মহার্ঘ ভাতার মৌলিক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করে সরকার চুক্তিভঙ্গ করেছে। সেক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীদের অধিকার আছে।’ (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
5/9তিনি আরও বলেন, 'সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সরকার কোনও কড়া পদক্ষেপ করলে তা বেআইনি হবে। তারপরও কোনও পদক্ষেপ করলে বড়জোর একদিনের বেতন কাটতে পারে রাজ্য সরকার । কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার সেটাও পারবে না। তাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কাছে আহ্বান, নির্ভয়ে ধর্মঘটে সামিল হোন। এরকম অনুকূল পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি। কারও (রাজ্য সরকারের) কিছু করার ক্ষমতা নেই।' (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
6/9ডিএ নিয়ে ধর্মঘটের মধ্যেই শুক্রবার থেকে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি করবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেদিন থেকে উত্তরপত্র নেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে দ্বিধাভক্ত শিক্ষকদের একাংশ। যদিও বিষয়টি নিয়ে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের প্রতিনিধি ভাষ্কর বলেন,'মাধ্যমিকের উত্তরপত্র বিলি নিয়ে অনেকে আমাদের প্রশ্ন করছেন। তাঁদের বলছি যে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র পরদিন নেবেন। পরিষ্কার জানিয়ে দিন যে শুক্রবার কোনওরকম কাজ করতে পারবেন না।' (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
7/9ধর্মঘট নিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে কী কী হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে? রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার কোনও সরকারি কর্মচারী অফিসে না এলে শোকজ নোটিশ দর্শানো হবে। সন্তোষজনক উত্তর দিতে না পারলে শৃঙ্খলামূলক পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইসঙ্গে রাজ্যের হুঁশিয়ারি, শুক্রবার অফিসে না এলে সরকারি কর্মচারীদের একদিনের বেতন কাটা যাবে এবং কর্মজীবনে ছেদ পড়বে। তবে চারটি ক্ষেত্রে কর্মচারীরা শুক্রবার অফিসে না এলেও কোনও পদক্ষেপ করা হবে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই)
8/9কোন কোন ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরা অফিসে না গেলে পদক্ষেপ করা হবে না? রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৯ মার্চের আগে থেকে যে রাজ্য সরকারি কর্মীরা অনুপস্থিত আছেন ও গুরুতর অসুস্থ আছেন; ৯ মার্চের আগে থেকে যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি, মেডিক্যাল লিভ, আর্নড লিভ অনুমোদিত আছে, তাঁরা যদি অফিসে না আসেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হবে না। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)
9/9আপাতত পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কত হারে ডিএ পান? আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ছয় শতাংশ হারে ডিএ পান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যেখানে সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। যা শীঘ্রই বেড়ে ৪২ শতাংশ হতে পারে বলে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য পিটিআই)