মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতেই শহিদ মিনারের সামনের ধরনা মঞ্চ কিছুটা ফাঁকা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আন্দোলনের ঝাঁঝ কিছুটা কমিয়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা। তবে ফের একবার আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়িয়ে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল অবলম্বন করলেন সরকারি কর্মচারীরা। এই আবহে মাধ্যমিক চলাকালীনই ফের কর্মবিরতির ডাক সরাকরি কর্মীদের।
1/5আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার ২ ঘণ্টার জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে বসা সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা তবে তাঁরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, কোনওভাবেই মাধ্যমিক পরীক্ষা ও জরুরি পরিষেবা এই কর্মসূচির কারণে ব্যাহত হবে না। (Saikat Paul)
2/5বকেয়া মহার্ঘভাতা তথা ডিএ-র দাবিতে শহিদ মিনারে এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন সরকারি কর্মচারীরা। পাশাপাশি চলছে অনশন। তার মেয়াদ দুই সপ্তাহ পার করে গিয়েছে। ১০ মার্চ ধর্মঘটেরও ডাক দিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এর আগে ২০ এবং ২১ ফেব্রুয়ারি গোটা দিনের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলকারীরা। তবে এতকিছুতেও সরকার টলেনি। হকের ডিএ পাননি কর্মচারীরা। (Saikat Paul)
3/5রবিবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করে সেখানে আগামী কর্মসূচির ঘোষণা করে যৌথ মঞ্চ। এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজ্য আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, '১০ মার্চ আমরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছি। তার আগে ৫ মার্চ আমরা শহিদ মিনারেই একটা জনসভার ডাক দিয়েছি। সেখানে আমরা রাজ্যের সরকারি কর্মীদের পাশাপাশি চাকরিপ্রার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনকেও আহ্বান করছি।' (Saikat Paul)
4/5সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী ১০ দিন বাড়তি ছুটি দেন। যেগুলো আগে পাওয়া যেত না। আর এই ছুটিগুলো সরকারি কর্মীরা চান না। এই ছুটির জেরে এমনিতেই সরকারি কাজের গতি ধীর হচ্ছে। এরই সঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজ্য সরকারের বহু শূন্যপদ রয়েছে। সেগুলো পূরণ না করার জেরে বহু বাড়তি কাজ সরকারি কর্মীদের করতে হয়। ফলে সেই সমস্ত কাজও এবার থেকে তাঁরা করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। (Saikat Paul)
5/5সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করার প্রথম ধাপ হিসেবে সরকারি কর্মীরা ঠিক করেছেন, নির্বাচন কমিশন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ভোটকর্মীদের যে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সেটায় কোনও তথ্য দেবেন না তাঁরা। সরকারি দফতরগুলিতে অতিরিক্ত বোঝা নিয়ে কাজ করতে হয় বলেও অভিযোগ। এক আন্দোলনকারী বলেন, 'সাতটা-আটটা পর্যন্ত কাজ করতে হয়। সেসব কাজ এবার থেকে বন্ধ হবে। ৫ তারিখ এই ময়দানে বড় জমায়েত করা হবে।' (Saikat Paul)