ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া রাজ্য সরকারি কর্মীদের কড়া ... more
ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়া রাজ্য সরকারি কর্মীদের কড়া বার্তা দিতে কঠোর পদক্ষেপের পথে হেঁটেছে সররাক। এই আবহে ১০ মার্চের ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কর্মীদের শোকজ নোটিশ পাঠাচ্ছে সরকার। তবে এবার এই শোকজ করা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, পর্ষদের তরফে ১০ মার্চ স্কুলে অনুপস্থিত শিক্ষকদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আর এরই মধ্যে হয়েছে এক ভুল।
1/5দীর্ঘদিন আগে অবসর নেওয়া এক শিক্ষককে শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে বিতর্কে জড়াল পর্ষদ। হুগলির মগরার আদি সপ্তগ্রাম হাই স্কুলে এককালে পড়াতেন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ ৩৬ বছর শিক্ষাকতা করার পর গত ২০১৬ সালে অবসর নিয়েছিলেন কিশোরবাবু। এহেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষককেই শোকজ নোটিশ পাঠিয়ে পর্ষদ জানতে চাইল, কেন ১০ মার্চ ডিএ ধর্মঘটের দিন তিনি স্কুলে যাননি। এই ঘটনায় হতবাক অবসরপ্রাপ্ত কিষোরবাবু। বাকি অনেকেই অবাক এই কাণ্ড দেখে। (Utpal Sarkar)
2/5এদিকে কিশোরবাবুর মতো আরও অনেক অবসরপ্রাপ্তকেই শোকজ পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, পর্ষদের কাছে কি অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঠিক তথ্য নেই? এই ঘটনায় প্রাক্তন শিক্ষক কিশোরবাবু দাবি করেন, আগে বা পরে অবসর নিয়েছেন এমন অনেককেই শোকজ করা হয়েছে। স্কুলের একজন করনিক ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে মারা গিয়েছেন। তাঁকেও শোকজ করা হয়েছে। (Utpal Sarkar)
3/5উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ ডিএ ধর্মঘটের দিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকা শিক্ষকদের শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে। এই আবহে শোকজের জবাব দেওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে পর্ষদ। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শোকজের জবাব সরাসরি জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে পাঠাতে হবে ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত শিক্ষকদের। (Utpal Sarkar)
4/5অপরদিকে ডিএ ধর্মঘট শোকজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি নিয়ে বিশেষ নির্দেশিকা গিয়েছে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছেও। তাঁদের বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তির ব্যাপারে যাতে স্কুলগুলিকে জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে পর্ষদের নির্দেশ, শিক্ষকরা যেন কোনওভাবে শোকজ নোটিশের জবাব পর্ষদের কাছে না পাঠায়। পর্ষদের প্রয়োজন পড়লে জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছ থেকে সেই রিপোর্ট চেয়ে নেওয়া হবে। (Utpal Sarkar)
5/5প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ জেলায় জেলায় ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। এদিকে ডিএ ধর্মঘটে অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা 'ধর্মঘটের অধিকার' আছে। (Utpal Sarkar)