গত ২৭ জানুয়ারি থেকে শহিদ মিনারের সামনে শুরু হয় ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। আপাতত মাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে আন্দোলনের ঝাঁঝ কিছুটা কম। তবে এরই মধ্যে সরকারকে চাপে রাখতে অভিনব পদ্ধতিতে কর্মসূচি পালন করলেন সরকারি কর্মচারীরা। হকের ডিএ না পেয়ে 'লুটারি' কর্মসূচি পালন করলেন অনশনকারী এবং অন্যান্য আন্দোলনকারীরা।
1/6আন্দোলন মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কার্টুন আঁখা পোস্টার লাগিয়ে প্রতিবাদ করেন সরকারি কর্মচারীরা। এরই মাঝে গতকাল, শনিবার এই 'লুটারি' কর্মসূচি পালন করেন সরকারি কর্মীরা। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রীদের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দিয়ে ডিএ না পাওয়ার প্রতিবাদ জানালেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মচারীরা। আন্দোলকারীদের অভিযোগ, 'এই রাজ্যে এখন লুট চলছে'। তাই কর্মসূচির এমন নাম।
2/6ডিএ আন্দোলনকারীদের বিচারে 'লুটারি' হিসেবে প্রথম পুরস্কার প্রাপ্য মুখমন্ত্রীর। আন্দোলনকারীদের কথায়, রাজ্যের কোষাগার ফাঁকা। তাই ডিএ দিতে পারছে না সরকার। আর এর জন্যেই প্রথম পুরস্কার যাচ্ছে খোদ মুখমন্ত্রীর কাছে। দ্বিতীয় পুরস্কার যৌথ ভাবে পাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন মন্ত্রীরা। এছাড়া তৃতীয় পুরস্কারও দেওয়া হল রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের। ডিএ আন্দোলনকারীদের কথায়, রাজ্যের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীরা বিবৃতি দিচ্ছেন তাতে তাঁদের মানসিক চিকিৎসার দরকার।
3/6গত ১৫ ফেব্রুয়ারি বাজেটে ঘোষণার পর অবশেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় আগামী ১ মার্চ থেকে ছয় শতাংশ ডিএ পাবেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তবে কর্মচারীদের দাবি, তাঁরা এই ডিএ প্রত্যাখ্যান করতে চান।
4/6উল্লেখ্য, এবার ২৫ মাস বাদে ফের নতুন করে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করল মমতার সরকার। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তারপর থেকে একাধিকবার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বাড়লেও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সেই সৌভাগ্য হয়নি।
5/6প্রসঙ্গত, বিধানসভায় মূল যে নথি দেখে বাজেট ঘোষণা করছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাতে ডিএ বৃদ্ধির উল্লেখ ছিল না বলে দাবি উঠেছে। পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের হাতে একটি চিরকুট দেন। সেই চিরকুট চন্দ্রিমার হাতে দেন অরূপ। তারপরই ৩ শতাংশ ডিএ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
6/6এদিকে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়, আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই।