এখনও আদালতে ঝুলে রয়েছে মহার্ঘ ভাতা সংক্রান্ত মামলা। হাই কোর্টে বারবার জয় মিললেও দেখা মেলেনি হকের ডিএ-র। এখন 'পরীক্ষা' চলছে সর্বোচ্চ আদালতে। এই আবহে ধৈর্য্য হারিয়েছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীদের একাংশের। এদিকে অনেকেরই আশা ছিল, কিছু না হলেও জানুয়ারিতে অন্তত তিন শতাংশ ডিএ বাড়ানোর ঘোষণা করতে চলেছে রাজ্য সরকার। তবে সেটাও হয়নি। আর তাই এবার চরম পদক্ষেপের পথে হাঁটতে চলছেন সরকারি কর্মচারীরা।
1/6আগামী ৮ জানুয়ারি কার্যকরণী বৈঠকে বসতে চলেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ। বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন কোন পথে এগোবে, সেই রূপরেখা তৈরি করা হতে পারে এই বৈঠকে। 'নবান্ন ঘেরাও' কর্মসূচি পালনের পরিকল্পনা করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতিগুলির যৌথ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি। প্রয়োজনে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
2/6ইউনিটি ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে, ডিএ না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন সরকারি কর্মী, শিক্ষক ও গ্রুপ ডি কর্মীরা। সেদিন সরকারি কর্মীরা গণছুটির ডাক দিয়েছেন ফোরামের সদস্যরা। এদিকে কো-অর্ডিনেশন কমিটির বক্তব্য, প্রশাসনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপরে ভয়ঙ্কর আক্রমণ চলছে। প্রশাসনের আমলাদের একাংশ সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন।
3/6সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল সংবাদমাধ্যমের কাছে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন, সব রাজ্য ডিএ দিচ্ছে। আর এ রাজ্য সরকার দিনের পর দিন সরকারি কর্মীদের বঞ্চিত করছে। এই সরকার অপরাধী। এদের অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে সব হচ্ছে অথচ ডিএ দেওয়ার সময় শুধু সরকারের অজুহাত। আমরা সুপ্রিম কোর্টে লড়ছি। ৮ তারিখের সভায় বৃহত্তর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরির কথা বলেন তিনি।
4/6ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন, কর্মীদের প্রতি সরকারে বঞ্চনা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে। এই আবহে চলতি মাসের শেষে ২৭ তারিখ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে গণছুটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান দেবপ্রসাদবাবু। তাঁর কথায়, 'শুধু সময়ের অপেক্ষা। সরকারকে সব শোধ করতে হবে।'
5/6এদিকে জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলার শুনানি হতে পারে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইট ডিএ মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন হিসেবে ১৬ জানুয়ারি ধার্য করা হয়েছে। তবে সেদিনই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলার শুনানি হবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানানো হয়নি। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা উঠেছিল। কিন্তু সেদিন ডিএ মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত। সেদিনই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, নয়া বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে নয়া বেঞ্চ গঠন করে ডিএ মামলার শুনানি হবে।
6/6এর আগে গত বছরের ২০ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য সরকার। যা ২২ সেপ্টেম্বর খারিজ করে দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে বহাল রাখা হয়েছিল ২০ মে'র রায়। অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে এরপরই সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার।