সপ্তম বেতন কমিশন অনুযায়ী সরকারি কর্মীদের বেতন এবং মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তবে অনেক সময়ই সময়মতো ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয় না। বছরে দুবার সংশোধিত হয়ে থাকে ডিএ – জানুয়ারি এবং জুলাই। তবে সরকারের তরফে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয় পরে। তখন বকেয়া ডিএ দেওয়া হয়। আবার কোভিড কালের দেড় বছরের বকেয়া ডিএ এখনও দেয়নি সরকার। এই আবহে যখন সেই ডিএ ঢুকবে তখন আয়কর বাবদ অনেক টাকার কাটার কথা! কিন্তু এর থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে।
1/5কেন্দ্রীয় সরকারের যে কর্মচারীরা বকেয়া বেতন বা বকেয়া ডিএ পেয়েছেন, তারা আয়কর আইনের ধারা ৮৯-এর অধীনে কর ছাড়ের দাবি করতে পারেন।
2/5আয়কর আইনের ধারা ৮৯(১)-এর অধীনে, একজন করদাতা বকেয়া বেতন বা অগ্রিম বা বকেয়া পেনশন প্রাপ্তির জন্য করছাড় দাবি করতে পারেন। নয়ত বকেয়া ডিএ বা বেতন একসঙ্গে ঢুকলে তাতে খাতায় কলমে কর্মচারীর আয়বৃদ্ধি হচ্ছে। এর জেরে আয়কর বাবদ তাঁর বেশি টাকা খসবে। সরকারের ঘোষণার বিলম্বের কারণেই এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়ে থাকে। এটা সেই কর্মচারীর দোষে নয়। এই আবহে করছাড়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
3/5করছাড় দাবি করতে, সরকারি কর্মচারীদের আয়কর দফতরের ই-ফাইলিং পোর্টালে অনলাইনে ফর্ম ১০ই পূরণ করতে হবে। এই ফর্ম পূরণ না করে যদি করছাড়ের জন্য আবেদন করা হয়, তাহলে সেই কর্মচারী আয়কর দফতরের থেকে নোটিশ পেতে পারেন।
4/5ফর্ম ১০ই জমা দেওয়ার পরে, ‘রিফান্ড’ পেতে আপনার আইটিআর ফাইলিংয়ে ‘ট্যাক্স রিলিফ কলামে’ বিশদ উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। http://www.incometax.gov.in – ওয়েবসাইটে গিয়ে একজন করদাতা ১০ই ফর্ম পূরণ করে তা জমা দিতে পারেন।
5/5কীভাবে ১০ই ফর্ম জমা দেবেন? http://www.incometax.gov.in – ওয়েবসাইটে গিয়ে e-File ট্যাবে ক্লিক করে ফর্মের তালিকা থেকে ‘tax Exemption and Reliefs/Form 10E’ বেছে নিন। এরপর মূল্যায়নের বছর বাছুন। ১০ই ফর্মে ৫টি ভাগ থাকবে। বেতন সংক্রান্ত ছাড়ের জন্য অ্যানেক্সার-১ বেছে নিন। আপনার করছাড়ের পরিমাণ আপনাআপনি গণনা করে বাতলে দেবে ওয়েবসাইট। এরপর এই ফর্ম জমা দিয়ে আয়কর রিটার্নের ফাইলে তা উল্লেখ করুন।