আগামী মাসের পয়লা তারিখে বাজেট প্রস্তাবে বড় ঘোষণা করতে পারেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম মূল বেতন বাড়ানোর ঘোষণা করা হতে পারে বাজেট প্রস্তাবে। তা হলে দেশের লাখ লাখ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মুখে হাসি ফুটবে।
1/5সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২৬ হাজার করা হতে পারে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে ‘ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরে’ বদল আনা হতে পারে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে কর্মচারী ইউনিয়নগুলি ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ২.৫৭ গুণ থেকে বাড়িয়ে ৩.৬৮ গুণ করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল।
2/5আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে নয়া পদ্ধতি কার্যকর হতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে। বাজেট প্রস্তাবে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর নিয়ে ঘোষণা হলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতন একলাফে আনেকটাই বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
3/5কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৩৪টি সংশোধনী এনে ২০১৭ সালের জুন মাসে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুমোদন করেছিল। এর ফলে এন্ট্রি লেভেলের বেসিক বেতন প্রতি মাসে ৭০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০০০ টাকা করা হয়েছিল। যেখানে সর্বোচ্চ স্তরের অর্থাত্ সচিব পর্যায়ের পদে বেসিক বেতন ৯০,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২.৫ লক্ষ টাকা করা হয়। ক্লাস ১ অফিসারদের জন্য, প্রারম্ভিক বেতন করা হয় ৫৬,১০০ টাকা।
4/5এদিকে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর সংক্রান্ত সুখবরের সম্ভাবনা তৈরি হলেও বকেয়া ডিএ পাওয়ার কোনও আশা আপাতত দেখছেন না সরকারি কর্মীরা। সরকারি কর্মচারীদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্ট বার্তা পাঠিয়েছে যে, ২০২০ সালের জানুযারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্য়ন্ত দেড় বছরের বকেয়া ডিএ দেওয়া হবে না। এই নিয়ে গত শীতকালীন অধিবেশনে সংসদেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
5/5করোনা মহামারীর সময়ে কেন্দ্রীয় কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মহার্ঘ ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে ডিএ এবং ডিআর বৃদ্ধি হলেও কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে ১৮ মাসের বকেয়া ডিএ দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে না। বরং, অর্থ মন্ত্রণালয় কোভিড-১৯ মহামারীর সময় আটকে রাখা বকেয়া ডিআর-এর তিনটি কিস্তি দেওয়ার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে।