8th Pay Commission implementation: অষ্টম বেতন কমিশন, EPFO-র সুদ নিয়ে সরকারের ওপর চাপ RSS-এর! বাজেটের আগে বৈঠকে নির্মলা

Updated: 27 Jun 2024, 07:06 AM IST Abhijit Chowdhury Abhijit Chowdhury 27 Jun 2024 budget news, 8th pay commission, nirmala sitharaman, rss, আরএসএস, নির্মলা সীতারামন, বাজেটের খবর, অষ্টম বেতন কমিশন, পুরনো পেনশন স্কিম, ওপিএস, ইপিএফও সুদের হার, epfo interest rate, ops, government employee, সরকারি কর্মী

নয়া বেতন কমিশন, পুরনো পেনশন স্কিম সহ একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরে চাপ সৃষ্টির পথে হাঁটল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের ট্রেড ইউনিয়ন 'ভারতীয় মজদুর সংঘ'। এই নিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠক হয় বিএমএস-এর।

1/7বাজেটের আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন আরএসএস-এর অধীনে থাকা ভারতীয় মজদুর সংঘের নেতারা। সেই বৈঠকে বিএমএস-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি সুরেন্দ্রন বেশ কিছু দাবি পেশ করেন। অষ্টম বেতন কমিশন গঠন, সরকারি কর্মীদের জন্যে পুরনো পেনশন স্কিম ফিরিয়ে আনা, ইপিএফ-এর সুদের হার বৃদ্ধির দাবি জানানো হয় বৈঠকে। এদিকে বৈঠকে বিএমএস ছাড়াও এআইটিইউসি, হিন্দ মজদুর সভা, সিটু-র মতো সংগঠনের নেতারাও ছিলেন।

2/7এই বৈঠকের পরে বিএমএস-এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বি সুরেন্দ্রন বলেন, 'আমরা অর্থমন্ত্রীর কাছে আবদেন জানিয়েছিল যাতে অবিলম্বে অষ্টম বেতন কমিশন গঠন করা হোক। এবং এরই সঙ্গে আমরা ফের একবার ভারতীয় শ্রম সম্মেলন আহ্বান করতে বলেছি অর্থমন্ত্রীকে।' এছাড়া মনরেগায় কাজের দিন ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করার দাবি জানানো হয়েছে। ওপিএস ফিরিয়ে আনার দাবি জানানো হয়েছে। সঙ্গে ইপিএফ-এ সুদের হার বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।

3/7উল্লেখ্য, সপ্তম কেন্দ্রীয় বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি সরকার দ্বারা বাস্তবায়িত হয়েছিল ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি। সেই সময় আন্তর্জাতিক শ্রম কমিশনের বিধি এবং ডঃ এইক্রয়ডের ফর্মুলার ভিত্তিতেই ২৬ হাজার টাকা মাসিক ন্যূনতম বেতনের দাবি জানানো হয়েছিল। তবে সেই সময় মাসিক ন্যূনতম বেতন ২৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। বদলে ন্যূনতম বেতন মাত্র ১৮ হাজার টাকা রাখা হয়েছিল।

4/7২০১৪ সালে সপ্তম বেতন কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এরপর ১০ বছর অতিক্রান্ত হতে চলল। এই আবহে নয়া পে কমিশনের প্রয়োজন রয়েছে বলে দাবি উঠেছে। এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতিক তরজ তুঙ্গে। বহু ক্ষেত্রেই সরকারি কর্মীরা পুরনো ব্যবস্থা চালু করার দাবি করেছে।

5/7কিন্তু নতুন পেনশন স্কিম নিয়ে কেন আপত্তি সরকারি কর্মীদের? দুই পেনশন নীতির ফারাক কোথায়? কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে - এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। সেখানে পুরনো ব্যবস্থায় শেষ পাওয়া বেতনের ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। যা নির্ধারিত ছিল। সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও মিলত এতে।

6/7এদিকে নয়া পেনশন প্রকল্পের আওতায় নিজের কর্মজীবনে যে পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করেন কর্মচারীরা, অবসরের সময় সেটার ৬০ শতাংশ টাকা তোলা যায়। যে টাকা তুললে কর দিতে হয় না। বাকি ৪০ শতাংশ অ্যানুইটিতে বিনিয়োগ করা হয়। প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, শেষ যে বেতন তুলেছিলেন সরকারি কর্মচারী, সেটার ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তবে সেটা যে মিলবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ পুরোটাই বাজারের উপর নির্ভর করে।

7/7সরকারি কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, পুরনো পেনশন প্রকল্পে কোনও ঝুঁকি নেই। নয়া পেনশন প্রকল্পে ঝুঁকি আছে। এর আগে ২০০৩ পর্যন্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের পেনশন দিল সরকার। তবে বাজপেয়ী জমানায় চালু হয় ন্যাশনাল পেনশন সিস্টেম। ২০০৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হয় এনপিএস।

পরবর্তী ফটো গ্যালারি

8th Pay Commission implementation: অষ্টম বেতন কমিশন, EPFO-র সুদ নিয়ে সরকারের ওপর চাপ RSS-এর! বাজেটের আগে বৈঠকে নির্মলা

Latest News

Latest pictures News in Bangla

IPL 2025 News in Bangla

Trending Topics

Sections

বাংলার মুখ

ময়দান

ক্রিকেট

ভাগ্যলিপি