আদানি-হিন্ডেনবার্গ বিতর্কের আবহে আদানিদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। এর আগেও একাধিকবার মোদী-আদানি সম্পর্ক নিয়ে তৃণমূল সরব হয়েছিল। বিশেষ করে মহুয়া মৈত্র এই বিষয়ে বেশ সরব। তবে গতবছর তাজপুর বন্দর প্রকল্পের বরাত পেয়েছিল আদানি। গৌতম আদানি নিজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। তবে বদলেছে সমীকরণ। তবে বাংলায় আগ্রহ হারায়নি আদানি।
1/5রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পন্সর করা একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য বিডিং প্রক্রিয়া অংশ নিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এর আগে গত বছর তাজপুর বন্দর উন্নয়নের জন্য চুক্তিতে সই করেছিল আদানি গোষ্ঠী। সেই সময় রাজনৈতিক ভাবে আদানি গোষ্ঠীকে তোপ সাময়িক ভাবে বন্ধ করেছিল তৃণমূল। মহুয়া অবশ্য তখনও নিজের অবস্থানে অনড় থেকেছিলেন। (REUTERS)
2/5জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ে টুরগা জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য এই বিডিং প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এপ্রিল পর্যন্ত দরপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে এই সময়সীমা একমাস বাড়ানো হতে পারে। আদানির পাশাপাশি সজ্জন জিন্দলের জেএসডাব্লু দরপত্র জমা দিয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। (REUTERS)
3/5এদিকে আদানি ইস্যুতে তৃণমূল কিছুটা বিড়ম্বনায় রয়েছে। এবারের বাজেটে তাজপুর বন্দরের কোনও উল্লেখ ছিল না। তবে এর তিন মাস আগেই গৌতম পুত্র করণ আদানির হাতে এই প্রকল্পের কাজ করার অনুমতি পত্র তুলে দেন মমতা। এই আবহে জানা গিয়েছে, রাজনৈতিক কারণে বাজেট ঘোষণায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তাজপুর বন্দর নিয়ে কিছু বলেননি। তবে এই প্রকল্পে আদানি গোষ্ঠীই কাজ করবে। (REUTERS)
4/5অপরদিকে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলেছে। তবে তবে তৃণমূল সেই পথে হাঁটছে না। তবে আদানি ইস্যুতে তারাও চুপ বসে নেই। এসবিআই, এলআইসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ, সংসদের সামনে ধরনা দিচ্ছেন ঘাসফুল শিবিরের সাংসদরাও। (REUTERS)
5/5এই বিষয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন আদানি বিতর্ক ইস্যুতে তৃণমূলের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এই ঘটনার তদন্ত চাই আমরা। অন্যান্য বিরোধী শক্তিগুলো যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত চাইলেও তৃণমূল সে পথে হাঁটছে না। কারণ, যুগ্ম সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন-সহ অধিকাংশ সদস্য বিজেপির। তাই যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত হলে বিষয়টি শেষ পর্যন্ত ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে আমাদের আশঙ্কা।' ডেরেক আরও বলেন, 'আদানির সম্পত্তি ক্ষয়ের জেরে জীবন বিমা নিগম এবং এসবিআই-তে যে সাধারণ মানুষের টাকা রয়েছে, তা কতটা ঝুঁকিতে রয়েছে, সে নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে চাই আমরা।' (REUTERS)