বিগত কয়েক সপ্তাহে শতাধিক শিক্ষককে বদলি করা হয়েছে। ডিএ আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, প্রতিহিংসামূলক আচরণের উদাহরণ দেখিয়ে সরকার এই বদলি করছে। এই আবহে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সংশ্লিষ্ট বদলির ধারার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। এ ব্যাপারে মামলা মামলা চলছে কলকাতা হাই কোর্টে।
1/5যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের অভিযোগ, ডিএ আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় ৫৮০ জন সরকারি শিক্ষককে দক্ষিণ ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকায় পাঠানো হয়েছে। এই আবহে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের চাপে রাখতে এবং একতায় চিড় ধরাতেই এহেন পদক্ষেপ। এদিকে সরকারের দাবি, যে কোনও স্তরের কর্মীকে বদলি করতে পারে সরকার। সার্ভিস রুল অনুযায়ী বদলি হয়েছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, সুন্দরবনে বদলি করা হয়েছে শতাধিক শিক্ষককে।
2/5এদিকে সম্প্রতি শিক্ষক বদলি নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের একটি পর্যবেক্ষণের পর থেকে শুরু হয়েছে এই শিক্ষক বদলি। স্কুল সার্ভিস কমিশন বলছে, বিদ্যালয়ে শিক্ষক-পড়ুয়া অনুপাত ঠিক রাখতেই এই বদলি। এর আগে উচ্চ আদালত বলেছিল, গ্রামাঞ্চলের স্কুলে শিক্ষক-ঘাটতি পূরণ করতে প্রয়োজনে কলকাতা থেকে শিক্ষক পাঠাতে হবে। প্রয়োজনে বদলি নীতি তৈরির করার ব্যাপারেও রাজ্য সরকারকে পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট।
3/5তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে সার্ভিস রুলের যে ধারার উল্লেখ করে বদলি করা হচ্ছে, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ধারার বৈধতা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। পরে তা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। পরে সেই মামলা ফিরে আসে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। তবে এখনও সেই মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এই আবহে শিক্ষা দফতর বলছে, সংশ্লিষ্ট ধারার ওপর স্থগিতাদেশ দেয়নি আদালত।
4/5উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে এসএসসি বিধির ১০(সি) ধারার ভিত্তিতে বদলির নির্দেশ জারি করেছে কমিশন। এই ধারার অধীনে একতরফা ভাবে সরকার প্রশাসনিক বদলি করতে পারে যে কারও। এই আবহে এই ধারার আইনি বৈধতা নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। এদিকে কমিশনের তরফে বদলির সুপারিশ দেওয়া হলেও মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এখনও কোনও বদলির নির্দেশ জারি করেনি। তবে এই সুপারিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন একাধিক শিক্ষক। তবে সেই মামলার শুনানি হয়নি আদালতে।
5/5এদিকে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ১০ মার্চ প্রশাসনিক ধর্মঘট ডাকা হয়েছিল। ধর্মঘটের সমর্থনে সেদিন স্কুলে যাননি অনেক শিক্ষক। সেজন্য তাঁদের শো-কজ করা হয়েছিল। এরপরও গত ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লিতে ধরনায় যোগ দিয়েছিলেন বহু সরকারি শিক্ষক। এই আবহে বেছে বেছে ডিএ আন্দোলনে যাগদানকারী শিক্ষকদের বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। এর আগে ধর্মঘটী শিক্ষকের বেতন এবং ভাতা কেটে নেওয়ার নির্দেশিকা জারি করেছিল সরকার।