Allegations against DA Protestors: ডিএ আন্দোলনকারীদের দিল্লি যাত্রী নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল, সামনে লক্ষাধিক টাকার রশিদ

Updated: 17 Apr 2023, 03:44 PM IST Abhijit Chowdhury

গত ১০ এবং ১১ এপ্রিল দিল্লিতে ধরনা দিতে গিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৫০০ জন সরকারি কর্মচারীরা। সেই দিল্লি যাত্রা নিয়ে এবার বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। এক টুইট বোমায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে কুণাল দাবি করেন, দিল্লিতে হিন্দু মহাসভার বাড়িতে ছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

1/5কুণাল ঘোষ আজ দুটি রশিদের ছবি আপলোড করে দাবি করেন, হিন্দু মহাসভার বাড়িতে মোটা টাকার ভাড়া মিটিয়ে ছিলেন ৫০০ ডিএ আন্দোলনকারী। তাঁর টুইট করা দুই রশিদের একটিতে এল লাখ টাকার অঙ্ক লেখা। অপরটিতে লেখা ৭৩ হাজার টাকার অঙ্ক। টুইটে কুণাল প্রশ্ন করেন, 'এই রশিদগুলি আসল না নকল? যদি আসল হয়, তাহলে যৌথ মঞ্চ দিল্লিতে কাদের আশ্রয়ে ছিল, কোথায় ছিল বুঝে নিন।'

2/5এদিকে কুণাল ঘোষ টুইট বার্তায় আরও লেখেন, 'যদি এই টাকা দেওয়া হয়, তাহলে এত টাকা নগদে কেন? তাহলে টাকা কে বা কারা দিচ্ছে? কত টাকা উঠছে? মঞ্চের পর্দার পেছনের মুখগুলো স্পষ্ট হচ্ছে। রামবামকং। যদি রশিদ ভুল হয়, মঞ্চ জানাক।' প্রসঙ্গত, এর আগেও বারংবার শাসকদেলর তরফে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপি, বাম এবং কংগ্রেসের যৌথ মদতেই সরকারকে অচল করতে চাইছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

3/5এদিকে পয়লা বৈশাখের দিনই আন্দোলনের খরচ নিয়ে অডিট করানোর বার্তা দিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ। পাশাপাশি নববর্ষের দিন মুখ্যমন্ত্রীর থেকে পাওয়া শুভেচ্ছা বার্তা 'প্রত্যাখ্যান' করে ধর্মতলায় এসে তাঁকে ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

4/5এদিকে আজকেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মীদের একহাত নেন। মমতা অভিযোগ করেন, 'কো-অর্ডিনেশন কমিটি কোনও কাজ করে না। সব ফাইল রেখে দেয়।' এর আগেও তিনি সরকারি কর্মচারীদের একাধিকবার আক্রমণ করেছিলেন। এর আগে গত ২৯ মার্চ ডিএ আন্দোলনকারীদের 'চোর-ডাকাত' আখ্যা দিয়েছিলেন। আবার ৩০ মার্চ অভিযোগ করেছিলেন, ডিএ আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রত্যেক সরকারি কর্মী চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন।

5/5এদিকে আগামীতে ডিএ আন্দোলন কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে নজর সবার। কারণ আজ উচ্চ আদালত ডিএ সংক্রান্ত এক মামলায় সরকারকে নির্দেশ দেয় ১০ দিনের মধ্যে ডিএ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে। এর আগে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে বৈঠকে বসতে সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। তবে শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠক আর হয়নি। এই আবহে, আজ ফের একবার সময় বেঁধে দিল হাই কোর্ট।