আদানি-হিন্ডেনবার্গ নিয়ে যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। এই নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তাল সংসদ। এই আবহে এবার এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
1/5ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে কথা বলার সময় বিজেপির 'চাণক্য' দাবি করেন, 'সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। যদি বেআইনি কিছু হয়ে থাকলে কাউকেই ছেড়ে দেওয়া হবে না।' পাশাপাশি তিনি বিরোধীদেরও তোপ দাগেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে সরব হওয়ার ইস্যুতে। (PTI)
2/5আদানি প্রসঙ্গে অমিত শাহ এদিন বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের দিয়ে দু'সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। যাঁদের কাছে যা প্রমাণ আছে, সবাই সেসব তাঁদের কাছে জমা দিন। দুর্নীতি করে থাকলে কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রত্যেকের বিচারব্যবস্থায় আস্থা রাখা উচিত। বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি আদালতকে একটি হলফনামায় জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে তদন্ত করছে। সুপ্রিম কোর্ট সেবিকে তাদের তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।' (PTI)
3/5এদিকে আলোচনাসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করলেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। শাহ দাবি করেন, যতগুলি দুর্নীতির তদন্ত হচ্ছে তার মধ্যে শুধুমাত্র দু'টি বিজেপি সরকারের আমলের, বাকি মামলাগুলি ইউপিএ জমানার। অমিত শাহ বলেন, '২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনের সময় কংগ্রেসের এক বড় নেত্রী জানিয়েছিলেন, যদি তাঁরা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, তাহলে তার তদন্ত হোক। আর এখন তিনি আমাদেরই প্রশ্ন করছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পদক্ষেপ করলে তাঁরা কান্নাকাটি করছেন।' (PTI)
4/5অমিত শাহ আরও বলেন, 'তদন্তকারী সংস্থাগুলি আদালতের ঊর্ধ্বে নয়। নোটিশ, এফআইআর, চার্জশিট নিয়ে আদালতে যেতে পারেন বিরোধীরা। সেটা না করে বাইরে চিৎকার চ্যাঁচামেচি করছেন। আমি তাঁদের প্রশ্ন করতে চাই, যদি কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়ে থাকে, তাহলে কি তার বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত হবে না? এই সব মামলাগুলির মধ্যে শুধুমাত্র দু'টি ছাড়া বাকি সবগুলিই তাদের কংগ্রেসের শাসনকালে দায়ের করা হয়েছিল। আমাদের সরকারের আমলে নয়।' (PTI)
5/5কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও দাবি করেন, 'কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ শাসনকালের ১০ বছরে ১২ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি ধরা পড়েছিল। তখন তা ধামাচাপা দিতে সিবিআইকে দিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। কোনও আর্থিক তছরূপের মামলা হলে, তার তদন্ত করতে বাধ্য ইডি। কেউ কি তাঁদের আদালতে যাতে বাধা দিয়েছে? আমাদের থেকে অনেক ভালো ভালো আইনজীবী আছেন তাঁদের দলে। আমি আপনাদের প্রত্যেককে একটাই কথা বলতে চাই, আপনারা আইন মেনে চলুন। সেটাই একমাত্র রাস্তা।' (PTI)