Aparajita Bill 2024 tabled in assembly: অপরাজিতা বিল পেশ বিধানসভায়! কেন্দ্রীয় আইনের থেকেও ধর্ষণে কঠোর শাস্তি, কী আলাদা?

Updated: 03 Sep 2024, 12:46 PM IST Ayan Das

'দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪' - পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় সেই বিল পেশ করল তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পরে সেই বিল পেশ করা হল।

1/6পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় 'অপরাজিতা' বিল পেশ করলেন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। যে বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে। রয়েছে জরিমানা বিধানও। ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের বিভিন্ন ধারার সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে 'অপরাজিতা' বিলে। যে বিলের পুরো নাম হল - 'দ্য অপরাজিতা উইমেন অ্যান্ড চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্রিমিনাল ল অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২৪'। (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

2/6ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান আছে। দণ্ডিতের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। রয়েছে জরিমানারও বিধান। অপরাজিতা বিলে ধর্ষণের ক্ষেত্রে ফাঁসির বিধান রাখা হয়েছে। অথবা দণ্ডিত যতদিন জীবিত থাকবে, ততদিন জেলে থাকার বিধান আছে। সঙ্গে আছে জরিমানারও বিধান। (ছবি সৌজন্যে এএনআই)

3/6আবার অপরাজিতা বিল অনুযায়ী, ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। নির্যাতিতা যদি কোমায় থাকেন বা আচ্ছন্ন অবস্থায় থাকেন, তাহলেও মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে অপরাজিতা বিলে। দুটি ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান আছে। অন্যদিকে একই অপরাধের ক্ষেত্রে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৬ নম্বর ধারার আওতায় দণ্ডিতের ন্যূনতম ২০ বছরের জেল হবে। যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। আছে জরিমানার বিধান। (ছবি সৌজন্যে এএফপি)

4/6গণধর্ষণের ক্ষেত্রে অপরাজিতা বিলে মৃত্যুদণ্ড বা আজীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সঙ্গে আছে জরিমানার বিধান। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৭০ (১) নম্বর ধারায় গণধর্ষণের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ বছরের কারাদণ্ড হবে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে। আছে জরিমানার বিধান। অন্যদিকে, অপরাজিতা বিলে অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রেও যাবজ্জীবনের বিধান আছে। (ছবি সৌজন্যে এপি)

5/6রাজ্য সরকারের প্রস্তাবিত অপরাজিতা বিলে ধর্ষণ এবং অ্যাসিড হামলার মামলার তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়া আরও দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার প্রস্তাব আছে। ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার অনুযায়ী, তিন সপ্তাহ থেকে দু'মাসের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে বাড়তি ১৫ দিন মিলবে। অপরাজিতা বিলে যাবতীয় যৌন নির্যাতন এবং অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যে যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করার বিধান আছে। (ছবি সৌজন্যে এপি)

6/6বিল পাশ করানোর প্রক্রিয়া: ২৯৪ আসন-বিশিষ্ট বিধানসভায় তৃণমূলের পক্ষে ২২৩ জনের সমর্থন আছে। ফলে বিজেপি সমর্থন না করলেও বিল পাশ করতে বেগ পেতে হবে না রাজ্য সরকারকে। কিন্তু আইন যৌথ তালিকায় আছে। তাই বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার জন্য রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির সবুজ সংকেত লাগবে। তবে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের বিল এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পায়নি। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

পরবর্তী ফটো গ্যালারি