যুদ্ধ শুরুর ৫৪ দিন পরও কিয়েভ দখল করতে সক্ষম হয়নি রাশিয়া। তবে ইউক্রেনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী মারিউপোল রুশ দখলে গিয়েছে বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। এই আবহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করলেন যে রাশিয়া আম জনতার উপর আর্টিলারি ব্যবহার করে গোলা বর্ষণ করছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদ’ চালানোয় রাশিয়াকে তোপ দাগেন জেলেনস্কি।
1/5বর্তমানে অবরুদ্ধ শহর মারিউপোল দখলের দিকে মনোনিবেশ করছে ক্রেমলিন। গত সাত সপ্তাহ ধরে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এই শহর। ইউক্রেনীয় সেনাদের সোমবার সকালের মধ্যে আত্মসমর্পণ করে মারিউপোল ছাড়ার ‘নির্দেশ’ দেয় রাশিয়া। এরপর ক্রেমলিনের তরফে দাবি করা হয়, ১ হাজার ৪৬৪ জন ইউক্রেনীয় সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেঙ্কোভ বলেন, মারিউপোলের শহর অঞ্চল রুশ সেনারা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন। (REUTERS)
2/5অবশ্য বন্দর শহর মারিউপোলের পতনের খবর অস্বীকার করেছে ইউক্রেন। প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিহাল দাবি করেন, অবশিষ্ট ইউক্রেনীয় সেনারা এখনও লড়াই করছেন শহরে। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের পূর্ব দিকে রুশপন্থী অধ্যুষিত অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের মাঝে অবস্থিত মারিউপোল। এই আবহে এই বন্দর শহর কৌশলগত ভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। (REUTERS)
3/5এদিকে জেলেনস্কি জানিয়েছিলেন যে অবরুদ্ধ মারিউপোলে থাকা ইউক্রেনীয় সেনা ও আম নাগরিকদের যদি রাশিয়া হত্যা করে, তাহলে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাবে। এরই মাঝে জেলেনস্কি অভিযোগ করলেন, নিরপরাধ, নিরস্ত্র সাধারণ ইউক্রেনবাসীর উপর আর্টিলারির মাধ্যমে গোলা বর্ষণ করেছে রাশিয়া। (REUTERS)
4/5জেলেনস্কির দাবি, ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া এবং অবরুদ্ধ শহর মারিউপোলে আগ্রাসন বাড়িয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, দক্ষিণ ইউক্রেনে রাশিয়ান সেনারা সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন করছে এবং তাদের অপহরণ করছে। (REUTERS)
5/5জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, ‘মারিউপোলে টর্চার চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। রুশ সেনা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের অপহরণ করছে। সাধারণ মানুষের ওপর মর্টার হামলা চালাচ্ছে।’ যদিও ক্রেমলিন অসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অস্বীকার করেছে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ এনে দাবি করেছে যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিতেই এই নৃশংসতার দাবি সাজানো হচ্ছে। (REUTERS)