দাবি ছিল কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করার। পাশাপাশি বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিও উঠেছে সরকারি কর্মীদের তরফে। তবে এরই মাঝে আদালতে চলছে সেই মামলা। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে বাজেটে মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির ঘোষণা করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
1/5এই বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা ২০২৩ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হবে। রাজ্যের সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা এর লাভ পাবেন। এর আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় তিন শতাংশ ডিএ পান। নয়া ঘোষণার ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা ছয় শতাংশ ডিএ পাবেন।
2/5২০১৬ সালে গ্রুপ ডি-র কোনও কর্মীর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ১৭ হাজার টাকা। ২০২২ সাল পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির ফলে তাঁদের বর্তমান বেসিক পে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩০০ টাকা। সেই টাকার ৬ শতাংশ ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। অর্থাৎ, হিসেবে অনুযায়ী মাসে ডিএ বাবদ ১২১৮ টাকা পাওয়ার কথা গ্রুপ ডি সরকারি কর্মীদের।
3/5২০১৬ সালে গ্রুপ সি-র কোনও কর্মীর এন্ট্রি পয়েন্ট ছিল ২২ হাজার ৭০০ টাকা। ২০২২ সাল পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধির ফলে তাঁদের বর্তমান বেসিক পে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১০০ টাকা। সেই টাকার ৬ শতাংশ ডিএ পাবেন সরকারি কর্মীরা। অর্থাৎ, হিসেবে অনুযায়ী মাসে ডিএ বাবদ ১৬২৬ টাকা পাওয়ার কথা গ্রুপ সি সরকারি কর্মীদের।
4/5২০১৬ সালে আপার ডিভিশন ক্লার্কের বেতন যদি ২৮৯০০ টাকা থেকে থাকে, তাহলে ২০২২ সালে বেতন বৃদ্ধির পর তাঁর বেসি কপে প্রায় ৩৪ হাজার ৫০০ টাকা হয়েছে। এই বেসিক পে-এর ওপর ৬ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন আপার ডিভিশন ক্লার্করা। এর ফলে মাসে মাসে ডিএ বাবদ প্রায় ২০৭০ টাকা করে পাবেন এই সরকারি কর্মচারীরা। এর থেকে উঁচু পদে কর্মরত সরকারি কর্মচারীরাও তাদের বেসিক পে অনুযায়ী ডিএ পাবেন।
5/5এদিকে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের বক্তব্য, এই পে কমিশনের প্রথম থেকেই সরকার ৬ শতাংশ ডিএ বলে ঘোষণা করে আসছে, সেটা মিথ্যা। সরকার আমাদের এইচআর-এর টাকা ১৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশ কমিয়ে ১২ করেছে। সেটাই ডিএ বলে চালাচ্ছে। ওটা আসলে ডিএ নয়, আমাদের এইচআর-এর টাকা কেটে নিয়ে ডিএ বলছে। আসলে আমরা কোনও ডিএ-এই পাচ্ছিলাম না। এখন ৩ শতাংশ ঘোষণা করল। আমরা ৩৯ শতাংশ ডিএ চাই।